নেত্রকোনা পূর্বধলার ঘাগড়া ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল ইসলামের ৬ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে ৪র্থ ছেলে রাজিবুল ইসলাম রাজিব। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের কাছে এক পরিচিত নাম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষকে মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান সেই সাথে তার সামর্থ্য অনুযায়ী চেস্টা করে যাচ্ছে মানুষের সহযোগিতা করার এমন কার্যক্রম তার টাইমলাইনে সর্বত্ত। সে ছাত্রদের মৌলিক অধিকার নিয়েও সরব, সে পূর্বধলা সরকারী কলেজের ছাত্র। সে গ্রামের গরিব মানুষের পাশে গরমে ফ্যান, শীতে কম্বল বা শীতের পোষাক, অনাহারী মানুষের খাদ্য পৌছে দেয়ার চেষ্টায় যেন তার অংগীকার। গ্রামের সংস্কার কাজে সেচ্চাশ্রম, শিশু, যুবসমাজের মধ্যে খেলার সরঞ্জামসহ ক্রীড়া আয়োজনেও সে পিছিয়ে নেই। তার ফেইবুকের টাইমলাইন যেন মানব সেবার শোপিস।
করোনা মহামারীতে পুরো দেশ যখন লকডাউন দরিদ্র শ্রমজীবি মানুষ যখন কর্মহীনতায় খাদ্য অভাবে তখনও রাজিবুল বসে নেয়, তার প্রাপ্য বৃত্তির ৫০ হাজার টাকা পুরোটাই মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী কিনে পৌছে দিচ্ছে, সেই সাথে করছেন সামাজিক সচেতনতার কাজ।
রাজিবুল এর কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, ছোট সময় থেকে দেখতাম যারা সাহায্য সহযোগিতা পাওয়ার যোগ্য সেই দরিদ্র অসহায়দের সাহায্য দেওয়া হতো না। যে দরিদ্ররা বিভিন্ন কার্ড পাওয়ার যোগ্য তারা পাচ্ছেনা। এগুলো দেখে আমার অনেক কষ্ট লাগতো খেটে-খাওয়া এই সব দরিদ্র অসহায় মানুষদের কষ্ট দেখে স্বপ্ন বা সিদ্ধান্ত নিলাম আমি দরিদ্র অসহায় মানুষের সেবা করবো। নামাজ পরে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতাম আমি যেন আমার সব কিছু দিয়ে দরিদ্র অসহায় মানুষের সেবা করতে পারি নিঃস্বার্থ ভাবে, তাদের বিপদকে নিজের বিপদে মনে করে পাশে থাকতে পারি এবং তাদের পাওনা হক আদায়ের জন্য অন্যয়ের প্রতিবাদ করতে পারি সৎ সাহস নিয়ে ঐ দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে । আমি হয়তো বিভিন্ন কাজ কর্মের কিছু সামান্য ছবি ফেইসবুক পোস্ট করি, কিন্তু আপনারা বিশ্বাস করেন মনের আল্লাহ ভাল জানেন আমি লোক দেখানোর জন্য বা জনমত তৈরি করে নেতা হওয়ার জন্য এই পোস্ট করি না। স্বপ্ন একটায় একদিন আমাকে দেখে বা অনুসরণ করে আরো দশজন এগিয়ে আসবে মানবতার সেবায়, আর সেই দশজনকে দেখে আরো একশজন এগিয়ে আসবে সেই লক্ষ্য এই পোস্ট করা।
Be First to Comment