Press "Enter" to skip to content

“জাতীয় দিবস নিয়ে ভাবনা” -মোঃ এমদাদুল হক বাবুল

বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের রক্তঝরা ইতিহাসের জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত গুলো এই প্রজন্মের সামনে উপস্থাপন করে তাদেরকে অতিত ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দেশপ্রেম জাগ্রত করতেই জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়।যা সারা বিশ্ব জুড়েই স্বদেশ প্রেমের নিদর্শন হিসাবে পালিত হয়ে থাকে।

গতকাল ছিল ১৭ই মার্চ/২৫ই মার্চ/২৬ইমার্চ এই তিনটি জাতীয় দিবস উদযাপনের লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতি মুলক সভা।দিবসগুলো যথাযথ মার্যদায় ও উৎসব মুখর পরিবেশে পালনে প্রয়োজনীয়  সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।প্রতিটি দিবস উদযাপনের জন্য সরকারি অর্থ বরাদ্দ কম থাকায় প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সরকারি/বেসকারি সংস্থার অনুদানে অনুষ্ঠানটির সৌন্দর্য বর্ধিত করা হয়ে থাকে।এবার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যতিক্রম সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্রস্তাবনা আনেন-অনুষ্টানের খোদ সভাপতি-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়।তিনি পরিষ্কার ভাবে সভাকে অবহিত করেন-অনেক সমিতির নাম তালিকাভুক্ত হয়ে বিভিন্ন উপ-কমিটিতেও  অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু এরা মুলতঃ কোন জাতীয় দিবসেই কোন রকম সহযোগিতা করে না। এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের পুর্বে যে সমস্ত সমিতি/সংস্থার নামে আপত্তি উত্তাপিত হয়- তারা হলেন- দলিল লেখক সমিতি, ট্রাক-বাস,সিনএনজি, অটো শ্রমিকদের  সংগঠন সহ একটি নির্দিষ্ট ইটাভাটা,বণিক সমিতি, বাজার ইজারাদারগন রয়েছেন ।

এসময় সভায় আলোচনায় উঠে আসে – জাতীয় দিবস গুলোকে সামনে রেখে এই সমস্ত সমিতি গুলোতে অনুষ্টানের নামে টাকা উঠানো হয়ে থাকে।বিষয়টি আমলে নিয়ে সভাপতি সাহেব বলেন–এখন থেকে কেউ কোন ধরনের চাদাবাজি করলে সেগুলো প্রতিহত করার আহবান জানানো হয়।এসময় সভায় মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের চাদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।অতঃপর চাদাবাজ ও দুর্নীতি বাজদের বাদ দিয়ে সকল উপ- কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশেষ করে এসময় সাব-রেজিষ্টার অফিসের নানান অনিয়ম এবং জাতীয় অনুষ্ঠান গুলোতে তাদের অনুপস্থিত,ও অনাগ্রহ সভাকে ব্যতিত করে।একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন না করে দুর্নীতির প্রতি আকৃষ্টতা এক ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহিতারই সামিল।রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য পালন না করে রাষ্ট্রের প্রচলিত রীতিকে উপেক্ষা করে আর যাই কিছু হউক অন্তততঃ সেবাকে নিশ্চিত করা যায় না।তাই এদের প্রতি শুধুই ঘৃণা নয়-আইন অনুযায়ী বিচারের ব্যবস্থা করা উচিত।

এদিকে একদল সমিতিবাজ মানুষ তাদের নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার জন্য একটি সমিতি গঠন করে চাদাবাজির সিন্ডিকেট করে বাজারকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করে। যে/যারা এগুলো করে জাতীয় দিবস পালনে অনুপস্হিত থেকে অনাগ্রহ দেখায়–তাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলতে হবে।

More from রাজনীতিMore posts in রাজনীতি »
More from রাজনীতিMore posts in রাজনীতি »
More from লাইফস্টাইলMore posts in লাইফস্টাইল »
More from শিক্ষাMore posts in শিক্ষা »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.