নেত্রকোনা পূর্বধলায় গতকাল (৭এপ্রিল) হতে শুরু হয় সামাজিক লকডাউন কার্যক্রম, এর পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় সকলের ধন্যবাদ বার্তা। কিন্ত একদিন না যেতেই সেই চিত্র পাল্টে যায়, পূর্বধলার জুগলী-বারদার গ্রামে লকডাউন নিয়ে হয় সংঘর্ষ, এর পরই শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়।
এমন অবস্থায় পূর্বধলা উপজেলা প্রশাসন তাদের ফেইসবুক প্রোফাইল থেকে সামাজিক লকডাউন নিয়ে একটি নির্দেশনা পোস্ট করেন। যা নিম্নে দেয়া হলো…
রাস্তা বন্ধ করা মানেই লকডাউন নয়।
যারা নিজ উদ্যোগে লকডাউন/যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন তাদেরকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করছি:
১। রাস্তায় সম্পূর্ণ ব্যারিকেড না দিয়ে জিগজ্যাগ ব্যারিকেড দিন। এটি গাড়ির চলাচল বন্ধ করবে না। কিন্তু গাড়ীর গতি কমাতে বাধ্য করবে। তখন যাচাই-বাছাই করে এলাকায় গাড়ি প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
২। রাস্তার উপর কাঠের গুড়ি ফেলে টোট্যাল বন্ধ রাখা যাবে না। তবে কাঠের গুড়ি দিয়ে জিগজ্যাগ ট্র্যাক বানানো যেতে পারে।
৩। গ্রামের ছোট রাস্তাগুলো বাঁশ দিয়ে বন্ধ করা যেতে পারে, তবে প্রয়োজনে খুলে দেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক লোক রাখতে হবে।
৪। ব্যারিকেডের কারণে প্রশাসন/পুলিশের কার্যক্রম বা ত্রাণ কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
৫। যে কোন প্রকার মালবাহী গাড়ি, কৃষিপণ্য, খাদ্যদ্রব্য, ফিসারিজ এর গাড়ি, এম্বুলেন্সকে অবাধে চলাচলের সুযোগ দিতে হবে।
৬। যারা রাস্তা লকডাউন নিশ্চিত করবেন, তাদেরকে এটাও নিশ্চিত করতে হবে জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়সীমার বাইরে কোন দোকান কোন ভাবেই খোলা যাবে না। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শুধু মুদি দোকান, কাঁচাবাজার, ঔষধ, ফ্লেক্সিলোড কৃষি উপকরণ, সার-বীজের দোকান খোলা রাখা যাবে।
৭। কারো বাড়িতে চায়ের দোকান যাতে বসতে না পারে, কেউ যেন বাড়িতে সেলুনের কাজ করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
৮। লকডাউনের কারণে কেউ যেন জরুরি কাজে বের হলে হয়রানির স্বীকার না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
৯। যে কোন প্রকার বহিরাগত প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
১০। জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কেউ যেন ঘরের বাইরে বের না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
১১। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ সবজির বাজার নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে।
১২। রাস্তা লকডাউনের নামে কোন প্রকার চাঁদাবাজি/অহেতুক হয়রানি করা হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Be First to Comment