নেত্রকোণার পূর্বধলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শহিদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে শহিদ মিনার স্থাপনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিক্ষা অফিসারকে সাথে নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মিটিং করে শহিদ মিনার স্থাপনের কাজ শুরু করেন। আন্তরিকতা ও ইচ্ছা থাকলে যে ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায় তা প্রমাণ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
জানা গেছে, দেড় বছর আগেও উপজেলায় ১৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ২১টি বিদ্যালয়ের শহিদ মিনার ছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রায় শতভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই শহিদ মিনার স্থাপন দৃশ্যমান হয়েছে। এতদিন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও জাতীয় শহিদ দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশুদের যেতে হতো অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের শহিদ মিনারে। আবার কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অস্থায়ী ভাবে শহিদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করতো।
গত দেড় বছর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদেন শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স। তারপর পরিকল্পনা করেন সব স্কুলে শহিদ মিনার তৈরি করবেন। সরকারি কোনো বরাদ্দ নয়, স্কুল ফান্ডের নিজস্ব তহবিল ও স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিগণের সহায়তা তৈরি করা হলো নান্দনিক এসব শহিদ মিনার। কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম মনোয়ার হোসেন বলেন, ইউএনও স্যার বিদ্যালয়ের সকল প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে বিদ্যালয়ের ফান্ডসহ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আজকের এই সুন্দর নবনির্মিত শহীদ মিনার দৃশ্যমান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, উপজেলায় যোগদানের পর সব স্কুলে শহিদ মিনারের নির্মাণের পরিকল্পনা করি। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি কোমলমতি শিশুরা যাতে শ্রদ্ধা জানাতে পারে এবং দিবসগুলোর তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারে, সেজন্য শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন হয়েছে। এই মহতী কাজের নেতৃত্ব দিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
Be First to Comment