পূর্বধলায় গতকাল দুইজন চিকিৎসক আক্রান্তের গঠনায় জনমনে আতংক ও প্রশ্ন রোগী না থাকলে তারা আক্রান্ত কিভাবে হলো? এমন প্রশ্নের উপলব্দি থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. হাবিবুর রহমান আজ ২২ এপ্রিল রাত ১০.২১ মিনিটে ফেইসবুকে একটি স্টেটার্স আপডেট করেন যা আপনাদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হল…
গত কাল আমার দুইজন ডাক্তার সহকর্মী COVID-19 পজেটিভ হওয়ায়, হসপিটালে সবারই মন ব্যাথিত ছিল। মূহুরতে ই উপজেলা বাসীর অজস্র ফোন ও জবাব দেওয়া কেন? কোথায়? কিভাবে? এলাকায় তো রোগী নাই,ডাক্তার পজেটিভ কিভাবে? আরে ভাই বড়আকারের রোগী সমাগম আগেকার মতো নাই ঠিকই। কিন্তু লক ডাউনের পর থেকে হাসপাতালে প্রতিদিন রেকর্ড মারামারির রোগী এসেছে। যে গুলো ম্যাক্সিমাম ই নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর ফেরত। তারপর নতুন শুরু অন্য ডিসট্রিক্টে ধান কাটতে যাবে তাদের সার্টিফিকেট প্রদান, তাদের ও বড় একটা অংশ ঐ অঞ্চল থেকে আসা। প্রতি দিন চল্লিশ পঞ্চাশ জন তো হবেই। নরমাল রোগী তো ছিলই, প্রতিদিন সেম্পল কালেকশন, ওয়ার্ড রাউন্ড ছিল। এর মধ্যে কিছু দিন পূর্বে তিন জন রোগী মারামারি করে এসেছিল। তাদের হিস্ট্রি নেওয়ার পর জানা গেল আগের দিন নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো সেম্পল কালেকশনের, এর মধ্যে এরা পালাইল। এই পুরু প্রক্রিয়া আমার যে অফিসার ডিল করেছেন সে এখন ইনফেকটেট, যা ই হোক আমাদের আশা ছিল এলাকাবাসী সতর্ক ও সাবধান হবে। আসলে কোনটাই হলোনা বরং আজ ২২.৪.২০ তারিখ মারামারি কুপাকুপি চরম আকার ধারন করেছে। সকাল থেক মাগরিব পর্যন্ত মারামারি এসেছে ১৯ জন। রাত তো পড়েই আছে! এর মধ্যে ছেলে মার হাত কুপ দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। আর এক ভদ্র লোকের মাথার পিছনে অসংখ্য কুপ। দুইটা নমুনা বললাম মাত্র, এর মধ্যে বিশিষ্ট জনদের ফোন রোগী ভর্তি রাখেন। ডাক্তার নরমাল রোগী সামলাবে,না কুপাকুপি সামলাবে না করোনা সামলাবে না বিশিষ্ট সামলাবে! সম্মানিত এলাকাবাসী দয়া করে আপনারা ঘরে থাকুক। এখন করোনা রোগী লক্ষণ প্রকাশ হচ্ছেনা কে ইনফেকটেট বুঝা যাচ্ছেনা। যার কারনে আমাদের দুইজন ডাক্তারের সোর্স খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, ডাক্তার সাবরা এলাকায় ই ছিলেন সুতারং মূলরোগীরা এলাকাই আছে। এই সময়ে মারামারির রোগী নিজের ঝুঁকি যেমন বাড়াচ্ছে তেমনি সার্ভিস প্রভাইডার কে ঝুঁকি পূর্ণ করে তুলেছে। শান্তিপূর্ন ভাবে থাকুন, বেঁচে থাকলে মামলা মুকাদ্দমা অনেক করা যাবে।
Be First to Comment