নেত্রকোণার পূর্বধলায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে শালথী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আরিফুজ্জামান ও তার এক ভাইকে মারধর করলেন ইউপি সদস্য ও তার লোকজন। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থসহ ১টি মোবাইল সেট জোরপুর্বক নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের তাদের নিজ গ্রাম ডুপিরকান্দায়। আবুল কাশেম ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। আহত শিক্ষকের ভাই আতিকুল ইসলামকে (৩০) নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসাপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং শিক্ষক আরিফুজ্জামানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের পিতা মো: নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আরিফুজ্জামানের পিতা নজরুল ইসলাম জানান, খলিশাউড় ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবুল কাসেম মেম্বার অনেক দিন আগে আমাদের ডুপিরকান্দা গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেয়। পরবর্তীতে টাকা নিয়ে যথাযথ কাজ না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে বিলম্বিত হয়। এ ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে ও দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য তাগিদ দিলে তিনি ক্ষুব্ধ হন। এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সন্ধায় সুযোগ বোঝে ইউপি সদস্য আবুল কাশেম তার লোকজন নিয়ে প্রথমে আমার সন্তান আতিকুল ইসলামকে ব্যপক মারধর করে মাথা ও পায়ে আঘাত করে । পরবর্তীতে অপর সন্তান আরিফুজ্জানকে পথ রোধ করে মারধর করে মোটরসাইকেল ভাংচুর করে তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও একটি মোবাইল জোরপুর্বক নিয়ে যায়। আতিকুল ইসলামকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির কারনে বর্তমানে হাসপাতাল থেকে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যপারে ইউপি সদস্য আবুল কাশেম মারামারির বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে এতে তিনি জড়িত নন। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন। পূর্বধলা থানার উপ-পরিদর্শক শাহজালাল জানান, এ ব্যপারে পূর্বধলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Be First to Comment