নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বাড়হা পশ্চিম পাড়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৪ মে (সোমবার) একই এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে গরুর শশা গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। উক্ত ঘটনায় ১ জন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষে হাসপাতালে আবুল বাশারের মৃত্যুর খবর পেয়ে মঞ্জুরুল হক এর দলের কয়েকশত লোক দলবদ্ধ হয়ে নবাব আলীসহ ৩টি বাড়ি ভাংচুর, প্রায় ২৫টি ঘরের মালামাল লুটপাট ও ব্যাপক ভাংচুর করে। বাড়ির ২২টি গরু বাছুর, গাড়ি, ডিপটিউবওয়েল ও জায়গা জমির দলিলসহ নগদ টাকা, স্বর্ণ-অলংকার নিয়ে যায়। এতে নবাব আলী দলের লোকজনের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান বাড়হা পশ্চিম পাড়া গ্রামের উছমান গণির ছেলে মোঃ হেলাল উদ্দিন। তিনি আরোও জানান, আমরা ৬ ভাই এর মধ্যে ৩ জন বাড়িতে থাকিনা। দুই ভাই ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকে সুতরাং উক্ত মারামারির সময় আমার ভাইয়েরা কেউই বাড়িতে ছিলনা। বিধায় মোঃ আবুল বাশারের মৃত্যু কোথায় কিভাবে কার লাটির আঘাতে এবং কার হুকুমে হয়েছে তা সুষ্ঠু তদন্ত করে বের করার জোর দাবি জানাচ্ছি এবং তার মৃত্যুতে সমবেদনা ও রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। একই সাথে আমাদের লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে অনধিকারভাবে প্রবেশ করে বাড়িঘর ভাংচুর এর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ময়মনসিংহ বিভাগীয় মাননীয় ডিআইজি, নেত্রকোনা জেলার সুযোগ্য মাননীয় পুলিশ সুপার ও মাননীয় ওসি পূর্বধলা থানা তাদের কাছে জোর দাবি করছি বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ন্যায় সংগত বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য। উল্লেখ্য যে, মোঃ মঞ্জুরুল হক ও তার দলের লোকজন এলাকার চিহ্নিত চোর, ডাকাত ও জামায়াত বিএনপির সন্ত্রাসবাহিনী এমন কথা প্রচলিত রয়েছে এলাকাতে লোক মুখে। বিষয়টি তদন্তের দাবি করছি সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে। গত ৪ মে উক্ত মারামারি ঘটনার পর পূর্বধলা থানায় উভয় পক্ষের দুটি মামলা রুজো করা হয়। মোঃ হেলাল উদ্দিনের পক্ষে বাড়হা পশ্চিম পাড়া গ্রামের নওয়াব আলীর পুত্র মোঃ রোকন উদ্দিন ২৫ জন ও অপরপক্ষের একই গ্রামের কাছম আলীর পুত্র মোঃ হাশিম উদ্দিন ২৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জায়েজুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মোঃ হেলাল উদ্দিন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পূর্বকন্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক শফিকুল আলম শাহিন, প্রেসক্লাবের সদস্য জুলফিকার আলী শাহিন, প্রেসক্লাবের সদস্য ও কালের কন্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি নূর আহম্মদ খান রতন, প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক ও পূর্বময় ডট কমের সম্পাদক ও প্রকাশক মো: শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, প্রেসক্লাবের সদস্য শহীদুল্লাহ সংগ্রাম, ডেইলী অভজারভারের উপজেলা প্রতিনিধি ও তৃতীয় মাত্রার জেলা প্রতিনিধি মো: এমদাদুল ইসলাম, সাংবাদিক মুজিবুর, আমাদের নতুন সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান, আজকের আরবান এর উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান, দৈনিক প্রতিবাদ ডট কমের প্রকাশক ও সম্পাদক আল মনসুর, পূর্বকন্ঠের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শহীদুল আলম মামুন প্রমুখ।
Be First to Comment