নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি ঘটনা অতঃপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ছবি প্রকাশ নিয়ে অহেতুক ধুম্রজাল সৃষ্টির অপচেষ্টা। বিতর্কের সূত্রপাত ধানমন্ডি, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ১৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন খোকন নামের আইডি থেকে একটি পোষ্টকে কেন্দ্র করে। জাকির হোসেন খোকনের ফেসবুক আইডি থেকে গত ২৬ এপ্রিল একটি পোষ্ট দেয়া হয়, যাতে গত ১৩ এপ্রিল পূর্বধলায় ত্রাণের জন্য ৩৩৩ নম্বরে ভুল তথ্য দেয়ায় পূর্বধলায় কর্মরত সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাসরিন বেগম সেতু বিশকাকুনী ইউনিয়নের ধোবারোহী গ্রামের হারুন অর রশিদ ও আবুল বাশারকে অর্থদন্ড প্রদান করেন। ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে জাকির হোসেন খোকন ঘটনার বিবরণে আর্থিক দন্ড উল্লেখ করলেও দন্ডপ্রাপ্ত দুইজনকে কান ধরে উঠবস করানোর বর্ণনা দেন যা আদো সত্য নয়। পোষ্টটিতে একটি ছবি প্রচার করেন যা প্রকৃতপক্ষে দন্ডপ্রাপ্ত দুইজনের নয় ।
মনগড়া তথ্য প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করার প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর প্রতিবাদে ইউএনও পূর্বধলা ফেসবুক পেইজ থেকেএকটি পোষ্ট দেন। এতে তিনি মিথ্যা তথ্য প্রচার থেকে সকলকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন এবং পোষ্ট দিয়ে প্রশাসনকে হেয় প্রতিপন্ন করার দায়ে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন। ফেসবুকে জাকির হোসেন খোকনের পোষ্ট পরবর্তী সরেজমিন এর সত্যতা জানার জন্য আজকের আরবান প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে মোবাইল কোর্টে দন্ডপ্রাপ্ত হারুন অর রশিদ ও আবুল বাশারের মতামত জানতে চাইলে তারা অর্থদন্ড ছাড়া অন্য কোন পরিস্থিতি ঘটেনি বলে উল্লেখ করেন এবং প্রকাশিত ছবি তাদের নয় বলে নিশ্চিত করেন।
তবে এমন একটি ক্রান্তিকালে কেন এমন উদভট তথ্য প্রচার করা হচ্ছে তা নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন। পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকেরা ঝুঁকি নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এমন ক্রান্তিলগ্নে সকলের সহযোগিতা কামনা করে কোন তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সকলকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
Be First to Comment