নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের লাউজানা গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে গত শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মো. রেজাউল করিম এবং তার পরিবারের উপর হামলা করে দুষ্কৃতকারীরা। রোজাউল করিম সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে শিক্ষকতা করেন। এছাড়া অ্যাডভোকেট হিসেবে ঢাকা জজ কোর্টেও কাজ করছেন। তিনি লাউজানা গ্রামের মো. রাজ মামুদের ছেলে।
রেজাউল করিম ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে প্রতিবেশি এমদাদুল হক, আজাহার ইসলাম আলাল, সুরুজ আলী, কালাম উদ্দিন, তারেক মিয়া, উজ্জল মিয়া, কিবরিয়া, শহিদুল ইসলাম, মোশাররফ, রুমন মিয়া, খোকন মিয়া, আলতাফ, জালাল উদ্দিনসহ আরো ২০/৩০ জনের একটি দল লাটিসোটা, লোহার রড, জি আই পাইপ ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে অতর্কিত হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর চালায়। প্রথমে রেজাউল করিমের ছোট ভোই মো. বজলুল করিমের (২৫) উপর হামলা চালালে তার ডাকচিৎকারে ফেরাতে গেলে বাবা রাজ মামুদ, রেজাউল করিম ও মা সুফিয়া বেগমকে এলোপাথারি আঘাতে জখম করে। দুষ্কৃতকারীরা এ সময় একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে, ঘরে থাকা নগদ ৫লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে, লক্ষাধীক টাকার আসবাবপত্র, বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে।
রেজাউল করিম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুষ্কৃতকারীরা অতর্কিত হালমা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়িতে ছিলেন তাই তিনিও রেহাই পাননি। তার পরিবারের মা-বাবা ও ভাইকে নিয়ে ৪জনকেই প্রথমে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যপারে পূর্বধলা থানার উপ পরিদর্শক আব্দুল মালেক জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে দেখতে পাই। অভিযোগ বা মামলা বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আহতরা চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
Be First to Comment