কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অধিক মুনাফা লাভের আশায় গরু লালন পালন করলেও এখন হতাশায় পড়েছেন নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার গরু খামারিরা। চলমান লকডাউনের কারণে মাথায় হাত পড়েছে তাদের। ঈদের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই শঙ্কা ঘিরে ধরছে।
কোরবানি ঈদ সামনে রেখে পূর্বধলা উপজেলায় ৪০-৪২টি খামার রয়েছে। বর্তমান সময়ে গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি, বাজার মন্দা, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় পশুর হাট স্থাপনে বিধিনিষেধসহ নানাবিধ কারণে খামারিদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার রেখা। চলমান লকডাউনের কারণে গত ঈদের মতো এবারো তারা ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
কয়েকজন খামারির সাথে কথা বললে তারা জানান, কোরবানির ঈদকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারো গরু প্রস্তুত করেছেন তারা। গত বছরের মতো এবারো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। বিশেষ করে এবার করোনার ভয়াবহতায় লকডাউন দিয়েছেন সরকার। এতে শেষ পর্যন্ত কোরবারির পশুবিক্রির অবস্থা কী দাঁড়ায় তা নিয়ে আমাদের মাঝে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। করোনার কারণে গত বছর ব্যবসা মন্দা গেলেও এ বছর ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ছিল তাদের। কিন্তু সেই আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
উপজেলার আলোচিত ভাই ভাই খামারের মালিক তুহিন মোজাম্মেল হক বলেন, “ আমার খামারে সবচেয়ে বড় গরুটির ওজন ১২০০ কেজির বেশি। প্রতিদিন গরুর খাদ্য গমের ভুসি, কুঁড়া, চিকন ভুসিসহ প্রতিদিন প্রায় ১৬ কেজি খাবার প্রয়োজন হয়। আমার খামারে ৪টি গরু কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য তৈরি করেছি। মাসিক এত টাকা খরচ করারও পর যদি এখন যদি গরু বিক্রি করা না যায়, তাহলে কী যে হবে এ চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়েছেন তিনি।
Be First to Comment