Press "Enter" to skip to content

প্রেস বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে পূর্বধলা প্রেসক্লাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ সভা

নেত্রকোনার পূর্বধলা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পূর্বধলা প্রেসক্লাবের নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পূর্বধলা প্রেসক্লাব। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ না চাঁদাবাজির অভিযোগ? অস্পষ্ট প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় চটেছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। গতকাল বেলা ১২টায় পূর্বধলা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: আনোয়ারোল হক রতন নিজ কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির কপি বিতরণ করেন। এতে পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করলেও সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি পূর্বধলা প্রেসক্লাবের কোন সদস্যকে। পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: জায়েজুল ইসলাম এর সাম্প্রতিক প্রকাশিত দু’টি সংবাদের প্রেক্ষিতেই মূলত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ্যের এমন আয়োজন বলে দাবী করেন পূর্বধলা প্রেসক্লাব সদস্যরা।


বক্তব্য দেওয়ার সময় বক্তারা বেলন, কলেজে করোনা কালীন পরীক্ষা দেয়ার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় ও দুর্নীতি, কলেজের জায়গা ইজারা বা ভাড়া দেয়ার নামে রাজধলা বিলের মাটি খনন ও তা ভরাট করাকে কেন্দ্র করে সংবাদ দু’টিতে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ আছে। যা ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচিত-সমালোচিত। প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয় বর্ণনায় শুধুমাত্র মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া সংবাদ উল্লেখ করলেও ভিতরের বিবরণে সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। কিন্তু কবে, কখন, কিভাবে চাঁদা চেয়েছেন তার কোন সুনির্দিষ্ট বিবরণ বা প্রমান বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ নেই। প্রশ্ন হলো, চাঁদাবাজির মত এত বড় ঘটনায় তিনি কেন কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বা কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর হঠাৎ একটি দায়সারাগোছের অভিযোগ উত্থাপনেই ক্ষান্ত হলেন। সেই সাথে তিনি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অথচ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাবের সভাপতি বা ক্লাবের অন্য কোন সদস্যকে আমন্ত্রণ জানাননি, বিজ্ঞপ্তির কোন কপি প্রেসক্লাবে সরবরাহ করেননি কিংবা ইতোপূর্বে প্রেসক্লাব বরাবর কোন অভিযোগও দায়ের করেননি। সঙ্গত কারণেই বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে প্রতিয়মান হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির ভাষা, শব্দচয়ন, ঘটনার বর্ণনায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি, ইজারা ও ভাড়া শব্দ ব্যবহারের প্রেক্ষিত, প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করার যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ না করা, বিরাম চিহ্ন ব্যবহারে ত্রুটি ও বানান ভুলসহ অসংখ্য অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলেও সংবাদকর্মীর প্রকাশিত সংবাদের বানান ভুল এর বিষয়টি উল্লেখ করে মূল ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। সভায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: আনোয়ারোল হক রতন এর মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য প্রদানের প্রতিবাদে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় এবং এর প্রতিকারে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতি সৈয়দ আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহসভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, সাধারণ সম্পাদক জায়েজুল ইসলাম, সিনিয়র সদস্য আলী আহাম্মদ খান আইয়োব, শফিকুল আলম শাহীন, জুলফিকার আলী শাহীন, নূর আহাম্মদ খান রতন, গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নোমান শাহরিয়ার, আল মনসুর, সুহাদা মেহজাবিন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের সদস্য শাহ মোস্তাফিজ রাজিব, জিয়াউর রহমান প্রমূখ।

More from আইন আদালতMore posts in আইন আদালত »
More from গণমাধ্যমMore posts in গণমাধ্যম »
More from জাতীয়More posts in জাতীয় »
More from জীবনধারাMore posts in জীবনধারা »
More from প্রচ্ছদMore posts in প্রচ্ছদ »
More from প্রযুক্তিMore posts in প্রযুক্তি »
More from প্রশাসনMore posts in প্রশাসন »
More from বিশেষ সংবাদMore posts in বিশেষ সংবাদ »
More from রাজনীতিMore posts in রাজনীতি »
More from সকল সংবাদMore posts in সকল সংবাদ »
More from সারা বাংলাMore posts in সারা বাংলা »
More from সারাদেশMore posts in সারাদেশ »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.