গতকাল ছিল ০৮/০৩/২০২৪ ইং তারিখ শুক্রবার । বিকাল ৪টায় পুর্বধলা হেলিপ্যাড মাঠে এসি ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো এপিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চুড়ান্ত বা শেষ খেলা। খেলাটির পুরষ্কার বিতরণের পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই উপস্থিত ছিলেন-স্হানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আহমদ হোসেন। অনুষ্ঠানটির বিচিত্র রুপ কখনো আমাকে বিস্মিত করেছে-কখনো করেছে গর্বিত।
পুরো অনুষ্ঠানটি জুড়েই এমপি সাহেব বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের সাথে কথা শোনার এবং বলার ধৈর্য দেখে আমি ক্লান্ত হয়েছি। মানুষগুলোর কথা শুনতে যেয়ে তিনি এমন ভাব প্রদর্শন করেছেন-তখন সত্যিই মনে হয়েছে – সমাজ থেকে বর্ণবাদ প্রকৃতই বিলুপ্ত হয়েছে। এরমাঝে অনুষ্ঠানটির বিন্দুমাত্র ছন্দপতনও হয়নি বা এমপি সাহেবের বিরক্তিও ফুটে উঠেনি।
শেষপ্রান্তে ঘোষকের ঘোষণায় ভেসে আসলো–এখন প্রচার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয় একজন গরীব রিক্সাওয়ালাকে পারিবারিক সহায়তার জন্য ২০,০০০/টাকা নগদে প্রদান করছেন। একই অনুষ্ঠানে বৈচিত্র্যময় কর্মকাণ্ডের সমাহার নেতৃত্বের যথার্থকেই প্রতিফলিত করেছে। অনুভূতির অনুধাবনকে করেছে গর্বিত।
দেশের রাজনীতি হতে হবে এমনই সর্বোৎকৃষ্ট নীতি দ্বারা পরিচালিত। উদার, সহনশীল ও মানব কল্যাণমুখী নীতি দ্বারা রাষ্ট্রকে হতে হবে পরিচালিত–যা হবে মানব কল্যাণকর। আদর্শিক রাজনীতিবিদগন জনগণের কল্যাণের সাথে নিজের কল্যাণকে অভিন্ন মনে করে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন-এটিই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।ছোটবেলায় পড়েছি- ধান, নদী, খাল এই তিনে বরিশাল। আর এখন একটি বিশেষ দিক লক্ষ করছি তা হলো-আদর, স্নেহ, শাসন আর ভাষণ– এগুলো সবারে দিয়া হয় না।এটির যথার্থতা সার্বজনীন হতে হয়–তাহলেই গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। ধন্যবাদ, এসি ক্লাব, পুর্বধলাকে।
Be First to Comment