নির্বাচিত হয়েই চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রকোণা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন। শপথ নেওয়ার পর বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজে অফিসার ইন-চার্জকে ফোনে এ নির্দেশ দেন আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম ।
জানা গেছে, পূর্বধলার প্রায় ১ শতাধিক স্ট্যান্ডে বিগত ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন জনের নাম ভাঙিয়ে ইজারার নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতো।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আহমদ হোসেন ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে নেত্রকোণা-৫ পূর্বধলা উপজেলার সকল প্রকার চাঁদা আদায় বন্ধ করা হবে। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর বুধবার সকালে শপথ নেন। এরপর পূর্বধলার সকল প্রকার স্ট্যান্ডে অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যানে জিপির নামে চাঁদা আদায় বন্ধের ঘোষণা দেন।
স্থানীয়রা জানায়, স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির কারণে অনেকটাই অতিষ্ঠ ছিল খেটে খাওয়া ক্ষুদ্র যানবাহনের চালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। এদিকে চাঁদার কারণে বেড়ে যায় ভাড়াও। তাই যাত্রী ও চালক উভয়েই ছিলেন বিপাকে।
স্থানীয় চালকরা বলেন, ‘দৈনিক, মাসিক ও বার্ষিক বিভিন্ন হারে আমাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতো। বিচার দেওয়ার জায়গাও ছিল না। প্রতিবাদ করলে মারধর করতো। এখন ভালো লাগছে। আজ থেকে কোন জিপি নেওয়া হবে না।’
এ বিষয়ে জানতে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি পূর্বধলার মানুষকে নির্বাচনের আগে কথা দিয়েছিলাম কোনও চাঁদাবাজি সন্ত্রাসি কর্মকান্ড করার সুযোগ দেওয়া হবে না। পূর্বধলায় সন্ত্রাসি চাঁদাবাজি থাকবে না, আমি ইতিমধ্যে ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি। পূর্বধলার মানুষ আমার প্রতি যে বিশ্বাস রেখেছে আমি সেটা পূরণ করার চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।’
Be First to Comment