নেত্রকোনার পূর্বধলায় বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে নাকাল হয়ে পড়েছেন উপজেলাবাসী। ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে গড়ে ২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না গ্রাহক। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ পাওয়া যায় মাত্র ৪ ঘণ্টা। তাও আবার রমজানের সেহরি, ইফতার ও তারাবিতে একেবারেই বিদ্যুৎ দেখা মেলে না। ফলে এ এলাকার মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। দিনে রাতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ বার বিদুৎ যাওয়া আসা করে। অসনীয় তাপমাত্রা ও ভ্যাপসা গরমে দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার বসবাসরত মানুষগুলো। প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে যেন বিদ্যুতের সেবা নিয়ে প্রশ্ন। বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং আর লো-হাই ভোল্টেজের কারণে নষ্ট হচ্ছে মোটর, ফ্রিজ, টেলিভিশন, কম্পিউটারসহ নানা বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ। তাছাড়া সেচের মটর চালানো যাচ্ছে না। যখন তখন মটর জ্বলে যাচ্ছে, অপরদিকে উপজেলায় বিদ্যুতের অভাবে সেচ দিতে না পেরে বোরো মৌসুমের আবাদ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
গ্রাহকরা জানান, লোডশেডিং-এর কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ছে বেকায়দায়। দিনে-রাতে সমানভাবে লোডশেডিং হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, কেরোসিন তেল ও মোমবাতি কিনতে হচ্ছে, আবার বিদ্যুৎ বিলও দিতে হচ্ছে। ভূক্তভোগী মো. উজ্জ্বল মিয়া, সোহেল মিয়া, তারা মিয়া ও শফিক আহমেদ জানান, সেহরি ও ইফতারের সময় মোবাইলে লাইট জ্বালিয়ে খেয়েছেন। তারাবির সময়তো বিদ্যুতের দেখাই মিলছে না। তাদের মতো শত-শত গ্রাহকদের দাবি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, উপজেলায় বিদ্যুতের সংকট রয়েছে। কৃষক যাতে জমিতে সেচ দিতে পারে সেজন্য ইউনিয়নে অন্ততপক্ষে চার পাঁচ ঘন্টা বিদ্যুৎ যাতে দেয়া যায় । ক্রমান্বয়ে এই ব্যবস্থা চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে।দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পূর্বধলা শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. গোলাম মর্তুজা বলেন, তীব্র তাপদাহে, সেচ ও রমজানের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই সমস্যাটা হচ্ছে। খুব দ্রুত এ সংকট কাটিয়ে উঠবে। সাময়িক সময়ের জন্য এ সংকট উত্তোলনে সকলকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানান।
Be First to Comment