আজ রবিবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনার পূর্বধলা থানায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান রতন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রকোনা জেলা শাখার সহ-গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নুরের বিরুদ্ধে তিনি মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল নুরুল হক নুর তার ফেসবুক পেজ থেকে একটি বক্তব্য দেন। এতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে, এমন আপত্তিকর ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। এই বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে। নুরুল হকের বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণির মধ্যে বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।
ভিডিওটি অসংখ্য ফেসবুক আইডি ও পেইজ থেকে পোস্ট-শেয়ার করা হয়। যার ভেতর সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী অনেক মন্তব্য রয়েছে। তাতে জনগণ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িয়ে পরতে পারে। তাই নুরুল হক নুরকে আইনের আওতায় আনা গেলে আওয়ামী লীগের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দেশের সামগ্রিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হবে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত শনিবার দুপুরে একটি অভিযোগ পূর্বধলা থানায় মাহমুদুল হাসান রতন জমাদেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহিন সরকার ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রেজুয়ান মাসুদ।
মাহমুদুল হাসান রতন বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে মনে করি, নুরুল হকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তার বক্তব্যে সরকার ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এতে দল ও রাষ্ট্র বিশৃঙ্খলার সম্মুখিন হবে।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
Be First to Comment