দর্পন প্রতিনিধি: নেত্রকোণার পূর্বধলায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা, আর সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে জনজীবন। গত দুইদিনে হঠাৎ করেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। মাঝ রাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। বৃষ্টির মতো ঝরে শিশির। উপজেলার অনেক এলাকায় সাধারণ শ্রেণি পেশার লোকজন কাজে বের হতে না পেরে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে গ্রামের মানুষ।
প্রচন্ড ঠান্ডায় এখন নাকাল উপজেলা গ্রামাঞ্চলের মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। শিশু ও বয়স্করাও পড়েছেন শীত দুর্ভোগে। পাশাপাশি গবাদিপশুও রেহাই পাচ্ছে না এ থেকে। কুয়াশা বাড়ায় নিতান্তই প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। আর সন্ধ্যা নামতে না নামতেই গুটিয়ে যাচ্ছে হাট বাজার, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গ্রামাঞ্চলের দোকানপাট। সকালে স্কুলগামী শিশু এবং বৃদ্ধদের কষ্ট বেড়েছে দ্বিগুণ। সারাদিন সূর্যের দেখা না মেলায় গরম কাপড় জড়িয়েই কাজে যোগ দিতে হচ্ছে সবাইকে।
এদিকে হঠাৎ শীত বাড়ায় গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছে লোকজন। তারা বেশি ভিড় করছেনে ফুটপাতের পুরানো কাপড়ের দোকানে। নিজেদের সাধ্যমত কিনছেন শীতবস্ত্র। কেউ কেউ শীতের পিঠা খেতেও দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ হাবিবুর রহমান জানান, শীতের তীব্রতায় নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টে, ডায়রিয়ায়সহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন উপসর্গ বাড়ছে।
রিকশাচালক সমর আলী জানান, ঘন কুয়াশা এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণে সময় মতো রাস্তায় বের হতে পারছেন না।
পূর্বধলা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় অসহায় দুস্থ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
Be First to Comment