চলমান লকডাউনে ক্রেতা পাচ্ছেন না নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার দুগ্ধ খামারিরা। ক্রমাগত লোকসানের কারণে তাদের খামারগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দুধ বিক্রি করে গাভীর খাবারও যোগান হচ্ছে না তাদের। ফলে গাভী ও দুধ নিয়ে চরম বিপাকে আছেন তারা।
চলমান কঠোর লকডাউনে গত ১০/১১ দিন ধরে ক্রেতারা দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। উপজেলার দুধের প্রধান ক্রেতা মিষ্টির ও চায়ের দোকান। আর এই দোকানগুলো বন্ধ থাকার কারণে খামারিদের দুধ সরবরাহের জায়গা বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলার রাজপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, তার খামারে প্রতিদিন ৭০/৮০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। যেসব মিষ্টির দোকানে তিনি দুধ বিক্রি করতেন লকডাউনে দোকানগুলো বন্ধ আছে। দুধ বিক্রি করতে পারছেন না তিনি। বাজারে গো-খাদ্যের দামও অনেক বেড়ে গেছে। অথচ বাজারে দুধ বিক্রি করা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে গাভী বিক্রি করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছোট-বড় মিলে প্রায় ২০০টি গাভীর খামার রয়েছে। এসব খামার থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৪/১৫হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। এ ছাড়া হিসেবের বাইরেও গ্রামে অসংখ্য কৃষক রয়েছেন যারা গাভী পালন করছেন। সেখান থেকেও প্রচুর দুধ উৎপাদন হচ্ছে। এসব দুধ উপজেলার বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্ট, মিষ্টি ও চায়ের দোকানসহ বাসা-বাড়িতে সরবরাহ করা হয়। মহামারী করোনার কারণে দোকান বন্ধ থাকায় খামারিদের কষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মতিউর রহমান বলেন, লকডাউনের কারণে হোটেল ও মিষ্টির দোকানগুলো হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ায় খামারিরা দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। পূর্বধলা উপজেলা এলডিডিপি (দুধ শীতলীকরণ) প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে খামারিরা উপকৃত হবেন। আমরা আশাবাদি এই অবস্থা কাটিয়ে খামারিরা আবার আগের অবস্থানে ফিরে যাবেন।
Be First to Comment