করোনায় চলমান লকডাউনে সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মানুষ গৃহবন্দি ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কাজ না থাকায় অনেকে বেকার। মানুষের পকেট খালি। এরইমধ্যে নেত্রকোনার পূর্বধলায় বেড়েছে সবজির দাম। সব ধরনের কাঁচা সবজিতে ক্রেতাদের ১০/১৫ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। মাছের দামও বেড়েছে কিছুটা। বেশিদামে পণ্য কিনতে হিমসিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কাঁচাকলা ৪০ টাকা, কাকরোল ৪০টাকা, পটল ৪০টাকা, বরবটি ৮০টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কচুর মুকি ৪০ টাকা, আলু ২৫টাকা কেজি, লাউ মাঝারি ৪০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া মাঝারি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগে ১০-১৫ টাকা কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্বধলা সদর বাজারে সবজি ক্রেতা সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি সাধারন কৃষক। বাড়তি আয়ের কোন সুযোগ নেই। এমনিতেই সারাবছর চলতে কষ্ট হয়। এই লকডাউনে বেশি দামে ধানের বীজ কিনতে হয়েছে। আর এখন মাছ তরকারির বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। তাহলে কিনব কি করে? আজ এত দামে সবজি কিনলে কাল বাদে পরশু চলব কি ভাবে?
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তোতা মিয়া বলেন, চলমান লকডাউনে আমার দোকানটি বন্ধ থাকায় কোন আয় নেই। এখন যে হারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে বাজার মনিটরিং না থাকায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন অনেক ক্রেতা। মাছ বিক্রেতা কাজল বলেন, লকডাউনে শ্রমিক সংকট থাকায় ফিসারির মালিকরা মাছ ধরতে পারছেন না। তাছাড়া উপজেলার বাইরে থেকে মাছ বাজারে আসছে না। অতিবৃষ্টির কারণে অনেক পুকুর পানিতে তলিয়ে যায়। সেসময় অনেক পুকুরের মাছই বাইরে বেড়িয়ে গেছে। এই কারণে মাছের দাম কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়েছে।
তরকারি বিক্রেতা শামিম বলেন, লকডাউনে সকালে মাল কিনে বসতে বসতে নয়টা-দশটা বেজে যাচ্ছে। এরপর কয়েক ঘণ্টা বিক্রির সুযোগ পাচ্ছি। এতে করে মাল থেকে যাচ্ছে ও নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া মালামাল বাইরে থেকে আসছে কম।
Be First to Comment