নেত্রকোণার পূর্বধলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোলা হয়েছে নতুন ওয়ার্ড। গত মঙ্গলবার হাসপাতালের দুইটি কেবিনে পাঁচটি বেড যুক্ত করা হয়েছে। নেত্রকোণা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে পিপিই সরঞ্জামাদি প্রদান করা হয়েছে।
স্যানিটারী ইন্সপেক্টর হাসিম উদ্দিন খান জানান, সারা দেশে সরকারি নির্দেশনায় করোনা ভাইরাসের সতকর্তার প্রস্তুতির জন্য আইসোলেশন ইউনিট খোলার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই মোতাবেক দুটি কেবিনে এই কর্ণার খোলা হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য তারা আতঙ্কিত নয়। তবে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে তারা সঠিকভাবে সেবা দেবেন। পূর্বধলার বিষয়ে তেমনভাবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হাবিবুর রহমান জানান, এটি ভাইরাস রোগ হওয়ায় সর্দি, কাশি ও অন্যান্য কারণে ছড়িয়ে পড়ে। তবে বাংলাদেশে এই ভাইরাস নিয়ে তেমনভাবে আতঙ্কিত নয় চিকিৎসকরা। কারণ ভাইরাসের সাধারণ একটি মৌসুম থাকে, মৌসুম শেষ হলে সাধারণ এক মাসের মাথায় ভাইরাসটি তেমনভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদা আক্তার বলেন, আক্রান্ত রোগীদের সেবা নিশ্চিতে প্রস্তুত আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আইসোলেশন ইউনিটে হাসপাতালের সিনিয়র-জুনিয়র চিকিৎসকরা থাকবেন রোগীদের সেবা দিতে।
অপর দিকে পূর্বধলা উপজেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পূর্বধলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে স্থাপনকৃত অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন/আইসোলেশন ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। হোগলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকন আজ বুধবার (২৫ মার্চ) ওই সেন্টারের জন্য ৫০টি বিছানা সামগ্রী প্রদান করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ভারপ্রাপ্ত ডা: হাবিবুর রহমান উক্ত উপকরণ গ্রহন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ডা: আজহারুল ইসলাম, ডা: ধ্রুব সাহা রায়, এলজিইডি কর্মকর্তা গোলাম সামদানী, সমবায় কর্মকতা মো: সাইফুল আলম প্রমুখ।
এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুমের নির্দেশনা অনুযায়ী সন্দেহভাজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য নব নির্মিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সকে অস্থায়ীভাবে কোয়ারেন্টাইন/আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: হাবিবুর রহমান জানান উক্ত ভবনের ১১টি কক্ষে ৩জন করে ৩৩টি শয্যা স্থাপন করা যাবে।ভাইরাসের সাধারণ একটি মৌসুম থাকে, মৌসুম শেষ হলে ভাইরাস এমনিতেই মরে যায়। চীনে এখন ভাইরাসটি কিছুটা কমে যাচ্ছে।
Be First to Comment