নেত্রকোণার পূর্বধলায় স্কুলছাত্র মো. রেজাউল ইসলাম ওরফে টিটু (১৭) হত্যা মামলায় পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁদের পূর্বধলা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের ফুলপুর ও নেত্রকোণার পূর্বধলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার র্যাব–১৪ এর কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার দুজন হলেন, পূর্বধলা উপজেলার বুধি (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের মোনায়েম তালুকদার (৪০) ও মো. এরশাদুল ইসলাম (৩০)।
র্যাব ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ডিসেম্বর সকালে জেলার পূর্বধলায় বুধী গ্রামে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি রোমন ও তাঁর লোকজন একটি ফসলি জমি থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কাটছিলেন। এতে জমির মালিক হাকিম ও তাঁর ভাতিজা স্কুলছাত্র রেজাউল ইসলাম টিটু বাধা দেয়। এতে রোমন ও তাঁর পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হাকিম ও টিটুর ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে বেধড়ক মারধরে টিটুকে হত্যা করে পালিয়ে যায় রোমন ও তাঁর লোকজন।
এ ঘটনায় পরদিন নিহত টিটুর মা আয়েশা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে রোমন ও তাঁর চাচাসহ নয়জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার পরপরই রোমানের চাচা মঞ্জুরুল তালুকদার (৫০) ও আরেক চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম তালুকদারকে (১৯) গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। তবে রোমনসহ অন্য আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে পলাতক আসামিদের গতিবিধি অনুসরণ করে র্যাব। তাঁদের অবস্থান শনাক্ত করে র্যাব-১৪ এর কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবিরের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
পরে পূর্বধলা থেকে এরশাদুল ইসলাম ও ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে মোনায়েম তালুকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছাত্রলীগ নেতার ঘুষিতে প্রাণ হারালো স্কুলছাত্র। র্যাব-১৪ এর কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির জানান, আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁদের পূর্বধলা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, দুপুরে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় নয়জন আসামির মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে। রোমনসহ বাকি পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
Be First to Comment