ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রআসন বন্ধের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূ্র্বধলা কাচারী মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে পূ্র্বধলার সর্বস্তরের মুসলিম জনতা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনে চলমান হামলা ও সহিংসতার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেন। পাশাপাশি, অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধ করে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ারও দাবি জানান তারা।
আজ (শনিবার) ১৪ অক্টোবর জোহর নামাযের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল পূ্র্বধলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে পূ্র্বধলা স্টেশন বাজারে এসে মুফতী ওয়ালীউল্লাহ কাসেমী’র সভাপতিত্বে ধলা মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন এর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ধলা যাত্রাবাড়ী মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা জোনাঈদ আহমেদ, মাওঃ রেদওয়ানুল হোসাইন, মাওঃ সাইফুল্লাহ মানসুর, মাওঃ সাদিকুল ইসলাম, মুফতি তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্ত হয়। সমাবেশে বিশ্ব বিবেককে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়া হঠাৎ করে ইসরায়েলে হামলা চালানো শুরু করে হামাস। গত তিনদিন ধরে চলা এ হামলায় এখন পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ। ইসরায়েলি সেনা ও বেসামরিকদের হত্যা করা ছাড়াও প্রায় ১৫০ জনকে ধরে গাজা উপত্যকায় নিয়ে এসেছে তারা। শনিবারের হামলার পর গাজায় নির্বিচারে ও অব্যাহতভাবে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। আর তাদের এসব বিমান হামলায় নিহত হচ্ছেন অসংখ্য সাধারণ ফিলিস্তিনি। এছাড়া হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজাকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করেছে ইসরায়েল। সেখানে তারা বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। আর নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যার কারণে বন্দি ইসরায়েলিদের হত্যার হুমকি দিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে ৫ হাজারের বেশি। অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২ হাজার ৮০০ জনের বেশি আহত হয়েছে।
Be First to Comment