নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্বধলা উপজেলার একটি গ্রামের ১৪ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে দুর্গাপুরের মাধুপাড়া গ্রামের রিংকু রংদীর (২১) সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২৭ অক্টোবর সকালে ছাত্রীটি দুর্গাপুরে রিংকুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রিংকু তাকে নিয়ে সারাদিন বিভিন্ন স্থানে ঘোরেন। সন্ধ্যায় রিংকু তাকে নিজ বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দিলে ছাত্রীটি রাজি হয়। রিংকু প্রথমে তাকে তার শয়নকক্ষে থাকতে দিয়ে অন্য কক্ষে ঘুমাতে যান। তবে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে কৌশলে রিংকু ওই কক্ষে প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্কুলছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন।
মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং তার পরিবারকে বিষয়টি জানান। পরদিন সকালে ছাত্রীর মা দুর্গাপুর গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুর্গাপুর থানায় রিংকু রংদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত রিংকু রংদী উপজেলার সুপারসন চাম্বুগংয়ের ছেলে এবং তিনি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী কিশোরী ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত রিংকুকে ২৯ অক্টোবর (বুধবার) আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে, ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার (মেডিকেল) জন্য তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।