Press "Enter" to skip to content

পূর্বধলা ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে দা-ছুরি বঁটির কদর

কোরবানির ঈদের আর বাকি এক দিন। এ উপলক্ষে নেত্রকোণার পূর্বধলায় কামারের দোকানে ব্যস্ততা বেড়েছে। কেউ আসছেন কোরবানির সরঞ্জাম কিনতে, আবার কেউ আসছেন পুরোনো জিনিসই ধার করিয়ে নিতে। তবে এবার পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বেড়েছে চামড়া, হাড়, মাংস কাটার চাকু, ছুরি, দা, বঁটি, চাপাতির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, লোহার দরবৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাই এ বছর বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে এসব পণ্য।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) পূর্বধলা উপজেলার হুগলা, জারিয়া, শ্যামগঞ্জ, আগিয়া বাজারে এমন চিত্রই দেখা গেছে। কামাররা জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দেশে তৈরি চামড়া, হাড়, মাংস কাটার চাকু, ছুরি, দা, বঁটি, চাপাতি বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে। দাম বেশি হওয়ায় অনেকে আগের দা, বঁটি ধার দিয়ে নিচ্ছেন। তবে অনেক গ্রাহকের দাবি, সেক্ষেত্রেও দাম বেশি রাখা হচ্ছে।

পূর্বধলা বাজারের রঞ্জিত চন্দ্র দাস নামের এক ব্যবসায়ী দৈনিক সকালের সময় কে বলেন, এ বছর আকারভেদে প্রতি কেজি চাপাতি, বঁটির দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া বাজার সয়লাব আমদানি পণ্যে। অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, আকারভেদে প্রতি কেজি বঁটির দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। চাপাতির কেজি ৩৫০ টাকা, গত বছর ছিল ২৫০ টাকা। চামড়া ছাড়ানোর ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি ছুরির দাম পড়ছে ৫০ থেকে ৯০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৩০ থেকে ৭০ টাকা। গরু জবাইয়ের ছুরি প্রতি পিস ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। গত বছর এর দাম ছিল ২৫০ টাকা।

খুচরা বাজারে গেল বছর যে চাপাতি ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, এবার সেটির দাম হাঁকা হচ্ছে হাজার টাকা। দরদাম করে ক্রেতাকে ৮০০ টাকার মধ্যে কিনতে হচ্ছে। আরও এক ব্যবসায়ী বলেন মান ও আকারভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লোহায় তৈরি এসব পণ্য। তবে পিস হিসেবে কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাকে। সে হিসাবে প্রতি পিস চাপাতির দাম আকারভেদে ৫০০ থেকে ১ হাজার, দা ৩০০ থেকে ৭০০, পশু জবাইয়ের বড় ছুরি ৬০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। ছোট ছুরি ১৫০ থেকে ৩০০, দেশি চায়নিজ কুড়াল আকারভেদে ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় মিলছে।

আগিয়া ইউনিয়নের সুবাস জানান, শ্রমিকের মজুরি, লোহার দাম, দোকান খরচ—সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ কয়েকগুণ বেড়েছে। ফলে চাহিদা থাকলেও দামের কারণে পর্যাপ্ত সরবরাহ করা যায়নি। অন্যদিকে দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের আগ্রহ কম।

কামারের সহকারীরা জানান, বড় ও মাঝারি আকারের বঁটির জন্য ১২০ থেকে ১৫০ এবং সাধারণ আকারের প্রতিটির জন্য ৭০ থেকে ১০০ টাকা রাখা হচ্ছে। এদিকে মনিহারি, ক্রোকারিজ, মুদি ও হার্ডওয়্যারের দোকানে মিলছে আমদানি করা নানা ধরনের চাকু, চাপাতি, কুড়াল। দোকানে হাতের নাগালেই সাজিয়ে রাখা হচ্ছে এসব ধারালো অস্ত্র। দামও পণ্যের তুলনায় অনেক বেশি। চামড়া ছাড়ানোর প্রতি পিস ছুরির দাম আকারভেদে ২৫০ থেকে হাজার টাকা। ছুরি, চাপাতি প্রতি পিস মানভেদে ৫০০ থেকে আড়াই হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.