Press "Enter" to skip to content

পূর্বধলায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

নেত্রকোনার পূর্বধলার বিশকাকুনি ইউনিয়নে’র নৈগাঁও গ্রামে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গৃহবধুকে শ্লীলতাহানি, বসতবাড়ি দখল, মারধরের ঘটনায় শাস্তির দাবিতে  এবং উপজেলা সার্ভেয়ার কতৃক ২৩ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে’র দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

আধাঘণ্টার মানববন্দনে প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী হোরে মদিনা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আসমা বেগম, মামলার আসামি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. হামিদুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর মল্লিক প্রমুখ।

বক্তরা ও ভুক্তভোগীগন বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া চার ঘটিকার দিকে হোরে মদিনার স্বামী শাহীন দিনমজুরের কাজে চলে গেলে মোঃ হাদিউল ইসলাম ইউপি সদস্য সেলিম সরকারকে নিয়ে মোটরসাইকেল যুগে উপস্থিত হয়ে কাউকে কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে একটি বল ফিতা দিয়ে মাপপামাপি শুরু করে। এক পর্যায়ে বসতঘরের মাঝখানে একটি বাঁশের কোটি স্থাপন করে সার্ভেয়ার অন্যান্যদের হুকুম দেয় খুটির বরাবর পশ্চিম পাশের জায়গার ঘর ভেঙে ফেলার জন্য। ঘরের বেড়া ভাঙতে গেলে মদিনা ফিরাতে গেলে হাদিউল ইসলাম তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং শরীরের কাপড়-চোপড় টেনে খুলে অর্ধ উলঙ্গ করে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়। ঘরের পশ্চিম পাশে টিনের বেড়া ভাঙ্গা শুরু করলে উঠে সেখানে ফেরাতে গেলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে শরীরের নানা স্থানে কিল ঘুসি নীলা ফুলা জখম করে। ঘরের বেড়া ভেঙে ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এসে আটক করে জিজ্ঞেস করলে হাদিউল ইসলাম সরকারি সার্ভেয়ার বলে পরিচয় দেয়। ঐদিন রাতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ২৩ জনসহ অজ্ঞাত নামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যাদের মধ্যে ১নং আসামি সুজাত সরকার ও তার ভাইসহ ১৫-১৬ জন এখানে ছিলেন না। সভার কালেকশন ও দাওয়াত খেতে গিয়ে মামলার আসামি হয়ে তিন দিন জেলখানায় ছিল। তারা আরো বলেন একই মৌজায় এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২ শিক্ষকে’র দখলে সরকারি হালটের জায়গা রয়েছে কিন্তু সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এরা খুবই দুষ্ট প্রকৃতির লোক। এবিষয়ে প্রকৃত ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে পূর্বধলা উপজেলা সার্ভেয়ার মোঃ হাদিউল ইসলাম (৪৫), বিশকাকুনী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোঃ সেলিম  সরকার (৫০), আ. রশিদ, নৈগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.শহীদুল্লাহ ওরফে তৌহিদ, সহকারি শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ ওরফে জজ মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

More from আইন আদালতMore posts in আইন আদালত »
More from গণমাধ্যমMore posts in গণমাধ্যম »
More from জীবনধারাMore posts in জীবনধারা »
More from প্রশাসনMore posts in প্রশাসন »
More from সকল সংবাদMore posts in সকল সংবাদ »
More from সারা বাংলাMore posts in সারা বাংলা »
More from সারাদেশMore posts in সারাদেশ »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.