জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি কর্তৃক জনসেবার মান সমৃদ্ধ হলেই নাগরিক সেবা নিশ্চিত হয় ।সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্হানীয় সংসদ সদস্যগনের আন্তরিক সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। এতে জনপ্রতিনিধি ও জনগনের মধ্যে অন্তরের যোগসূত্র স্হাপিত হয়। যা একটি দেশের সামগ্রিক শাসনব্যবস্থাকে সুদৃঢ় ও সুসংহত করে।
ইতিমধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য-নেত্রকোনা-৫, মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পুর্বধলা উপজেলা সদরের প্রায় সকল রাস্তাঘাট (কলেজরোড,গার্লস স্কুল রেড,রাজপাড়া রোড,স্টশন রোড) জনগনের ব্যবহার উপযোগী হওয়ায় জনমনে স্বস্তি এসেছে। তাছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সকল ভঙ্গুর রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের (মাটির রাস্তা) সংস্কার ও মেরামত সাধিত হওয়ায় জনতার উচ্ছাস, আনন্দ ও প্রত্যাশা বেড়েই চলেছে।নির্বাচিত হওয়ার মাত্র ছয় মাসের মাথায় মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রায় ১৯টি রাস্তার পিচ, অসংখ্য মসজিদ,মাদ্রাসা,মন্দির ও ঈদগাহ মাঠ নির্মান সহ খেলাধুলার প্রসারে সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড়ের সুপারিশ ও অনুমোদন নিঃসন্দেহে সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের গতিকেই ত্বরান্বিত করেছে। এরই মধ্যে কার্যক্রমের বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
এমনি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হচ্ছে পুর্বধলার জিরো পয়েন্টে অবস্হিত বাজার সংলগ্ন রেলক্রসিং। যেটি দীর্ঘদিন ধরে যানবাহন ও যাত্রী সাধারণের মরণফাঁদ হিসাবে চিহ্নিত ছিল। বিভিন্ন সময়ে উল্লিখিত স্হানে রেল দুর্ঘটনা সহ সড়ক দুর্ঘটনায় বহুলোকের প্রাণহানি ঘটেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা জনাব আহমদ হোসেনের নির্দেশনায় ঈদুল আযহার পুর্বেই দুর্ঘটনা কবলিত স্হানটির মেরামত কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এটি সমাপ্তকরণের মধ্য দিয়ে পুর্বধলায় যানবাহন চলাচলের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ নির্বাচিত সংসদ সদস্য মহোদয়ের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
বর্তমানে পুর্বধলা উপজেলা সদরের সাথে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের সংযোগ সড়কগুলো পিচঢালা থাকলেও একমাত্র ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিসটির সংযোগ সড়কটির বেহাল অবস্থা খুবই অসহনীয় ও দুঃখজনক। কথিত আছে- পুর্বধলা থেকে কাপাশিয়া পর্যন্ত সড়কটির– “‘অর্ধাংশে চলে নতুন গাড়ি আর বাকী অর্ধাংশে চলে পরাতন গাড়ি”–অর্থাৎ কান্দাপাড়া থেকে কাপাশিয়া পর্যন্ত রাস্তাটি এতটাই খারাপ,- যেখানে নতুন গাড়ি চলাচলে ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান। তাই গাড়ির চালক ও মালিকদের এহেন সতর্কতা মুলক ব্যবস্থায় এ পথে চলাচলকারী যাত্রীরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
সমগ্র পুর্বধলার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কাপাশিয়া-পুর্বধলার সড়কটির অবশিষ্ট অংশ (কান্দাপাড়া-কাপাশিয়া) রাস্তার মেরামত ও সংস্কার কাজে মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের সুদৃষ্টি অত্যন্ত জরুরি। এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির সংস্কার কাজ সমাপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর দুর্ভোগ ও দুর্ভাগ্য দুটিরই অবসান ঘটবে।
———————————————–
মোঃ এমদাদুল হক বাবুল, সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, পুর্বধলা উপজেলা শাখা।
Be First to Comment