Press "Enter" to skip to content

পূর্বধলায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন(ভিডিওসহ)

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৬১, নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তুলেছেন নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও পূর্বধলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে তার জামতলা ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনটি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন,  আমি প্রয়াত সাবেক দুই বারের সাংসদ, প্রথম পূর্বধলা উপজেলার জনগণের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান, পূর্বধলা সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রিন্সিপাল সিরাজুল ইসলামের জৈষ্ঠ্য পুত্র। আমি এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগনের মনোনীত উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী। আমি আগেও আমি পরপর দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছি। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে আমার পাশে ছিলেন। কিন্তু কাঙ্খিত প্রতিফলন ঘঠেনি। হয়ত মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত হয়নি, ভাগ্য সহায় ছিলনা, তাই নির্বাচিত হতে পারিনি। আপনারা জানেন, আমার পিতা প্রিন্সিপাল সিরাজুল ইসলাম ছাত্র জীবনে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের তখনকার ইকবাল হল বর্তমানে সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের জিএস ছিলেন।

বর্ষীয়ান আওয়ামীলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ সাহেব হল শাখার ভিপি ছিলেন। উভয়ই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ছাত্রলীগ করতেন। শুধু তাই না আমার সহোদর চাচা রনাঙ্গনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম ফেরদৌস। আমি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আপনারা জানেন বাবার পর যাকে আমার রাজনীতির আদর্শ মানুষ, রাজনীতির গুরু হিসাবে মনে করতাম তিনি জননেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন। ১৬১, নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৫বারের সফল সাংগঠনিক সম্পাদক। উনার সাথে আমার দীর্ঘদিনের রাজনীতির পথ চলা। আমি নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্মানিত সদস্য। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি মঞ্চেই ছিলাম বর্তমান সাংসদের পাশে।

প্রিয় উপজেলা বাসী আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে তাদের মাধ্যমে আপনাদের জানাচ্ছি যে, বর্তমান সরকার অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ দলীয় প্রতীকবিহীন উপজেলা নির্বাচন গ্রহনে প্রস্তুত, দলীয় সিদ্ধান্তে কোন সংসদ সদস্য উনার নির্বাচনী এলাকায় কোন নিকট আত্মীয় এমনকি কাউকে একক প্রার্থী বা আমার প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করতে পারবে না। অথচ আমাদের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন পূর্বধলা উপজেলার বিভিন্ন সভা মঞ্চে বিতর্কিত এক প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য জনগনের কাছে অনেক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। এখনও বিভিন্ন সভা সমাবেশে তার কর্মীরা এমপির মনোনীত প্রার্থী বলেই প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

উনি ১লা এপ্রিল উপজেলার জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে একই মঞ্চে তিন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীকে জনগনের সামনে পরিচয় করে বলেছেন ওরা তিনজনই আমার উপজেলা চেয়রম্যান প্রার্থী আপনারা পছন্দমতে যে কাউকে নির্বাচিত করতে পারেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মাননীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আহমদ হোসেন বিভিন্ন পথ সভায় বিতর্কিত প্রার্থী কথিত শিল্পপতি আসাদুজ্জামান নয়নের হাত ধরে, আওয়ামী প্রার্থী এই বলে বিভিন্ন সভায় পরিচয় করে দেন, যা বর্তমান সরকারের দলীয় সিদ্ধান্তের পরিপন্থি এবং দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় পরিষদের ৫বারের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে তিনি কখনই এমন কাজটি করতে পারেন না। তাই আমি উনার এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ অবাদ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, পূর্বধলা উপজেলার সর্বস্তরের জনগনের কাছে আমি প্রত্যশা করছি আপনারা পূর্বের মতই আমার পাশে থাকবেন আমি আপনাদের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ। আমি আপনাদের আরও আশ্বস্ত করতে চাই আমার কোন কর্মী সমর্থক ভাইয়ের উপর যদি কোন আঘাত আসে আমি জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করবো ইনশাহআল্লাহ।

More from গণমাধ্যমMore posts in গণমাধ্যম »
More from জীবনধারাMore posts in জীবনধারা »
More from নির্বাচনের মাঠMore posts in নির্বাচনের মাঠ »
More from রাজনীতিMore posts in রাজনীতি »
More from রাজনীতিMore posts in রাজনীতি »
More from সকল সংবাদMore posts in সকল সংবাদ »
More from সারা বাংলাMore posts in সারা বাংলা »
More from সারাদেশMore posts in সারাদেশ »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.