নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নেত্রকোনার পূর্বধলায় ৪৯ টি পুজা মন্ডপে চলছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দূর্গোৎসব।
পর্যায়ক্রমে ঘুরে ফিরে নিয়মিত মন্ডপ পরিদর্শন করছেন উপজেলা নির্বাহী মোঃ খবিরুল আহসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজনীন আখতার, অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার শহিদ উল্লাহ ভূঁইয়া, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদ। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৯টি পুজা মন্ডপে ২৪ হাজার ৫০০ কেজি চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মহা সপ্তমীর দিন পর্যন্ত কোন ধরণের সমস্যা না থাকার কথা জানিয়েছেন পূঁজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ। ইউএনও, সেনা অফিসার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলায় মোট ৪৯ টি পুজা মন্ডপে চলছে শারদীয় দূর্গোৎসব। ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ১০ টি মন্ডপ শুধু হোগলা ইউনিয়নে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মন্ডপকে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ দিয়েছেন। এছাড়া অতিরিক্ত দুটি পুজা মন্ডপে ২ মেট্রিক টন চাল, আটটি পুজা মন্ডপে সাড়ে সাত হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মাধ্যমে উৎসব পালন নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ও পুলিশ প্রশাসন। গুরুত্ব অনুসারে প্রত্যেকটি মন্ডপ পাহাড়ার দায়িত্বে থাকবেন ৬-৮ জন আনসার সদস্য, ১-২ জন পুলিশ সদস্য ও ৪-৫ জন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য।
এ ছাড়া নিরাপত্তা পরিস্থিতি জানতে ঘুরে ফিরে সব গুলো মন্ডপ পরিদর্শন করছেন ইউএনও, এসিল্যান্ড, সেনাবাহিনীর অফিসার ও ওসি। তারা প্রত্যেক পুজা মন্ডপের কমিটির সাথে কথা বলে সার্বক্ষণিক সকল বিষয় সমন্বয় করছেন। পুজা মন্ডব গুলো পরিদর্শন করছেন ইউনিয়ন/উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা। নিরাপত্তা রক্ষার্থে কাজ করছেন জামায়াতে ইসলামের নেতৃবৃন্দও। পূর্বধলা উপজেলা পূঁজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি তরুণ কুমার রায় বলেন, গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পূঁজার শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সর্বদিক পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক আছে। উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন সর্বক্ষণ আমাদের খুঁজ খবর রাখছেন। সরকার আমাদেরকে আর্থিক সহায়তা করেছেন। আগামী ১৩ অক্টোবর রোববার বিসর্জন পর্যন্ত আমরা প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা চাই।
Be First to Comment