নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের নেতাকর্মীদের সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে পারাপারের জন্য একটি সাকো নির্মাণ করা হয়েছে।
আজ বুধবার উপজেলার দামপাড়া পানি ব্যবস্থ্যাপনা প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বেড়িবাঁধের জারিয়া ইউনিয়নের আনসার ক্যাম্পের পাশে নাটেরকোনা গ্রামের ভাঙ্গন অংশে এ সাকো নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভারীবর্ষন ও পাহাড়ী ঢলের কারনে কংশ নদের পানি ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এতে ঝুঁকিতে পড়ে পূর্বধলা উপজেলার দামপাড়া পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বেড়িবাঁধটি। স্থানে স্থানে ভাঙ্গনের উপক্রম দেখা দিলে মাটির বস্তা ফেলে এলাকাবাসী প্রাণান্ত চেষ্টা করতে থাকে বাঁধ রক্ষার। গত রবিবার দিনভর চেষ্টার পর সন্ধায় উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের আনসার ক্যাম্পের পাশে নাটেরকোনা গ্রামের বাঁধের অংশে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে প্রবলবেগে পানি জারিয়া ইউনিয়ন হয়ে পূর্বধলা উপজেলায় প্রবেশ করলে ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ে এবং প্রচুর পরিমানে আমন ফসল পানিতে তলিয়ে যায়।
বেড়িবাঁধে ভাঙ্গনসৃষ্টি হওয়ায় এই রাস্তায় চলাচলকারী ৬টি গ্রামের সাধারন মানুষ, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ে। দু’পাড়ের মানুষের দুর্ভোগলাঘবে নেত্রকোণা জেলা জামায়াতের আমির মাও: ছাদেক আহমদ হারিছের নির্দেশে স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ বাশের সাকো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আজ বুধবার দিনভর স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তারা একটি বাশের সাকো নির্মাণ করে দেয়। এ সময় সার্বিক তদারকিতে ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাছুম মোস্তফা। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জারিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি, মহিউদ্দিন তালুকদার, সেক্রেটারী মাও: এরশাদ খান, জামায়াত নেতা মাও: আব্দুস সালাম, মো: বোরহান উদ্দিন, এরশাদ খান, নাছির উদ্দিন, তোফায়েল আহমদ বাদশাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
নাটেরকোনা গ্রামের বাসিন্দা মো: আব্দুল কাদির বলেন, বাঁধে ভাঙ্গণ সৃষ্টি হওয়ায় এই এলাকার ৬টি গ্রামের লোকজনের পারাপারে ভীষণ সমস্যা হচ্ছিল। জামায়াতের উদ্যোগে সাকো নির্মাণ করায় মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হয়েছে।
এন জারিয়া ঝানজাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার বলেন, বেড়ীবাঁধের ভাঙ্গনের কারনে আমাদের চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন সাকোনির্মাণ করায় আমরা চলাচল করতে পারছি।
নেত্রকোণার জেলা জামায়াতে সেক্রেটারী অধ্যাপক মাসুম মোস্তফা বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে মানুষ পারাপারে জন্য দলীয় নেতৃবৃদের সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সাকোটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রশাসনের মাধ্যমে বাঁধটি পুন:নির্মানের ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: খবিরুল আহসান জানান, পানির স্রোতে একটু কমলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বাঁধটি দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হবে।
Be First to Comment