এইচএসসি ২০২৫ সালের ফলাফলে নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রেমীরা। উপজেলার পাঁচটি কলেজের ফলাফলের মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে শ্যামগঞ্জের হাফেজ জিয়াউর রহমান কলেজ, আর সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে উপজেলার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান পূর্বধলা সরকারি কলেজ।
প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, হাফেজ জিয়াউর রহমান কলেজ (শ্যামগঞ্জ) থেকে মোট ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী নিবন্ধিত ছিল। এর মধ্যে ৭৪৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং পাস করে ৩৬২ জন। পাসের হার ৪৮.৪০ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে, যা উপজেলার মধ্যে সর্বাধিক।
অন্যদিকে, দীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী পূর্বধলা সরকারি কলেজ থেকে মোট ১,০২১ জন পরীক্ষার্থী নিবন্ধিত ছিল। পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯৮৬ জন, যার মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৩৭০ জন। পাসের হার ৩৭.৫৩ শতাংশ, এবং পুরো কলেজে মাত্র একজন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। উপজেলার কেন্দ্রীয় কলেজ হিসেবে প্রত্যাশিত ফল না আসায় স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া, রাবেয়া আলী মহিলা কলেজে ৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৯ জন, পাসের হার ২৭.৫৪ শতাংশ, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কেউ নেই।
জাটিয়াবর কলেজে ১২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩ জন, পাসের হার ২৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, খালিশাপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও পাস করেছে মাত্র ১ জন, পাসের হার ১৪.২৯ শতাংশ।
সর্বমোট বিশ্লেষণে দেখা যায়, পূর্বধলা উপজেলার কলেজগুলোতে পাসের হার গড়পড়তা ৩০–৪০ শতাংশের মধ্যে, যা জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় নিচে।
স্থানীয় শিক্ষকরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের অনিয়মিত ক্লাস, মানসম্মত শিক্ষক সংকট, এবং প্রস্তুতির ঘাটতির কারণে ফলাফল আশানুরূপ হয়নি।
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পূর্বধলা সরকারি কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানে যদি এমন ফল হয়, তাহলে ছোট কলেজগুলোর অবস্থা অনুমান করাই যায়।”