নেত্রকোনার পূর্বধলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক কৃষকের প্রায় ২৫টি ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বিশকাকুনী মধ্যপাড়া গ্রামে।
আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যেখানটায় কৃষকের ফলজ ও বনজ গাছ এবং বাঁশঝাড় ছিল সেখানে কাটা অবস্থায় পড়ে আছে আম, কাঠাঁল, মেহগনি ও সবরিকলা গাছসহ প্রায় ২৫টি মাঝখানে কাটা গাছ।
জানা গেছে, এই জমির বাহিরে অন্য একটি জমি নিয়ে বাচ্ছু মিয়া ও রুক্কু মিয়ার সাথে প্রতিপক্ষ সাদ্দাম হোসেন (৩০) মুঞ্জল মিয়া (৩০), জুয়েল (২৮) ও চান মিয়ার (৬০) সাথে বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। গত দুই দিন আগে বিরোধপূর্ণ ইজমালি জমিতে ছোট বাচ্ছারা ক্রিকেট খেলার মাঠ তৈরির জন্য জমির আগাছা কেটে পরিষ্কার করে। এতে প্রতিপক্ষের মনে সন্দেহ জাগে ঐ জায়গা দখলে নিতে পারে। এ নিয়ে প্রতিপক্ষরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানান।
এ বিষয়ে মো: বাচ্ছু মিয়া জানান, আজ ভোররাতে ফিশারিতে মাছের খাবার দিতে যাওয়ার সময় সাদ্দাম, আরশাদ, জুয়েলসহ ৪/৫ জন কে দাঁ হাতে দৌড়ে চলে যেতে দেখি। সামনে গিয়ে দেখি আমার ২৫টি ফলজ, বনজ গাছ কেটে ফেলেছে। যে জায়গায় গাছ কর্তন করেছে সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ বনজ গাছ রোপন করেছিলাম। স্থানীয় প্রভাবশালীর নির্দেশে প্রভাব বিস্তার করে এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের একজন সাদ্দাম হোসেন বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে আমি শুনেছি, তাদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ আছে। কিন্তু কে বা কারা গাছ কেটেছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যারাই গাছ কেটেছে কাজটি টিক হয়নি।
এলাকাবাসী সোহাগ মিয়া জানান, যারাই এমন জঘন্যতম কাজ করেছে আমরা এলাকাবাসী হিসেবে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল মিয়া জানান, ফলের গাছ কাটা আর মানুষ মারা সমান। যারাই এই নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
এ বিষয়ে বিশকাকুনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিরুল ইমলাম আল-আমিন জানান, এদের দুপক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো। কিন্তু যে জায়গার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে এই জমি নিয়ে কোন বিরোধ ছিলো না। এভাবে গাছ কেটে ফেলার অধিকার কারও নেই। দুই পক্ষই আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
Be First to Comment