ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবের লড়াকু সৈনিক শরীফ উসমান হাদি হত্যার খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং ভারতীয় আধিপত্যের প্রতিবাদে নেত্রকোণার পূর্বধলায় বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ‘পূর্বধলার সর্বস্তরের বিপ্লবী জনতা’র ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি পূর্বধলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল চলাকালে বিক্ষুব্ধ জনতা ‘আমি কে তুমি কে, হাদি হাদি’, ‘আমার সোনার বাংলায়, সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই’, এবং ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’—এমন সব তেজোদীপ্ত স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন। মিছিলটি শেষে কাছারী মাদরাসার সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা শরীফ উসমান হাদিকে নির্যাতিত মানুষের সাহসী কণ্ঠস্বর হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড কেবল একজন ব্যক্তিকে হত্যা নয়, বরং আগামীর বিপ্লব ও প্রতিবাদের চেতনাকে স্তব্ধ করার এক ঘৃণ্য অপচেষ্টা। খুনিরা যে দলেরই হোক, তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।” একইসঙ্গে তাঁরা ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পূর্বধলা উপজেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মোহাম্মদ রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন:
তাজুল ইসলাম বাবুল: সভাপতি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সদর ইউনিয়ন শাখা। মাওলানা আলমগীর হুসাইন মিজবাহ: সাংগঠনিক সম্পাদক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নেত্রকোণা জেলা। হাফেজ মাওলানা আমিনুল হক লিমন: সেক্রেটারি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, পূর্বধলা উপজেলা। সহ আরও অনেক স্থানীয় আলেম ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে নিহত শরীফ উসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তিকামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা ছাদেক আহমেদ।