পূর্বধলায় অনলাইনে পশু ক্রয়ে জোরপূর্বক ইজারা আদায়ের অভিযোগ

নেত্রকোনার পূর্বধলায় অনলাইনে কোরবানীর পশু ক্রয়ের পর ক্রয়কৃত পশু থেকে ইজারা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৪ জুলাই উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া এলাকায় রাত ৯টার দিকে  অনলাইনে ক্রয়কৃত ৪টি গরুকে ঢাকা কোরবানীর বাজারে পাঠানোর জন্য ট্রাকে লোড দেওয়ার সময় স্থানীয় পূর্বধলা সদর বাজারের ইজারদার কতৃর্ক জোড় পূর্বক ৪হাজার টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন মাহাবুবুর রহমান।

অভিযোগকারী মাহাবুবুর রহমান বলেন, “আমি অনলাইনে পশু বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে তা সরাসরি মালিকের সাথে কথা বলে তার বাড়ি থেকে ক্রয় করি। ট্রাকে করে ঢাকা পাঠানোর সময় রুবেলসহ  কয়েজন উপস্থিত হয়ে জোরপূর্বক হাসিল রশিদ প্রদান করে আমাকে টাকা দিতে বাধ্য করে। আমার কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে কিন্তু ১৪ তারিখ কিন্তু টাকা আদায়ের রশিদে দেখানো হয়েছে ১২ জুলাই, রশিদে ইজারাদার উল্লেখ মাজহারুল ইসলাম সুহেল ও সিল স্বাক্ষরসহ। যা প্রতারণার শামিল।” আমি ব্যবসায়িক কাজে বাহিরে থাকায় অভিযোগ জানাতে পারিনি।

এ ব্যাপারে জানতে রশিদে থাকা ইজারাদারের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করেও পাওয়া যায়নি।

অভিযুক্ত রুবেল মিয়া বলেন, “তিনি জানতে পারেন কিছু গরু ট্রাকে লোড করা হচ্ছে, তারপর তিনি সেখানে যান এবং রাস্তায় যাতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য হাসিলের রশিদ প্রদান করি। কোন প্রকার জোর করা হয়নি।”

কিন্তু মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রকাশিত ১৪ জুলাই উপসচিবের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, হাট বাজারের জন্য নির্ধারিত পেরীফেরী ব্যতিরেখে গবাদি পশু/পণ্য কেনাবেচা করা না হলে হাসিল আদায়ের সুযোগ নেই। সেই সাথে অনলাইন প্লাটফর্মে পশু বিক্রয় ও ক্রয়কারীর নিকট কোন প্রকার হাসিল বা অন্যকোন চাঁদা দাবী/আদায় করা না হয় সে বিষয়ে হাট-বাজার নীলামকারী ও নীলাম গ্রহীতাসহ সংশ্লিস্টদের নির্দেশনা প্রদান করার অনুরোধ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে ইজারা নীলামকারী পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম এ ব্যপারে বলেন, “আমার কাছে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *