পূর্বধলায় মুক্তিযোদ্ধাগণের উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আজ ৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার পূর্বধলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সুজন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমি তাদের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। মহান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্ধুদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেত্রীত্বের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে ১৯৯১ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হই। পরে যুবলীগের উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হই। সেই থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অকুতোভয় সৈনিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দলকে তৃনমুল পর্যায়ের সুসংগঠিত করেছি। ফলে জনগন পর পর দুইবার আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে উপজেলার চেয়ারম্যান বানিয়েছে। আমি তাদের প্রত্যাশা পূরনে শততা, নিষ্টা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষানিত হয়ে একটি মহল মুক্তিযুদ্ধাদের ভুল বুঝিয়ে সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মনগড়া ৪টি অভিযোগ উত্থাপন করে মানববন্ধন কর্মসূচি, সংবাদ সম্মেলন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সকল অভিযোগ খন্ডন করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। সংবাদ সম্মেলন তিনি উত্থাপিত বিষয়ে সুষ্ঠু অনুসন্ধান পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান এর সাথে উপস্থিত ছিলেন ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইউনুস আলী মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ রাজু আহমেদ রাজ্জাক সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা সুমি আকন্দ, পূর্বধলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল, জারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মন্ডল নান্টু, বৈরাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান তালুকদার মোশারফ, ঘাগড়া ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান এ কে এম মাজহারুল ইসলাম রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, শ্যামগঞ্জ হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সাবেক জিএস শাহজাদ হোসেন সাজ্জাদ, সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ হাসানুজ্জামান রাফি, আকাইদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আতিকুর রহমান উজ্জল, ফরিদ আহমেদ, খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্য শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় নেত্রকোণা জেলা সংবাদিক ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Be First to Comment