নেত্রকোনার পূর্বধলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ৩১ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হলেও, কমিটিকে ঘিরে শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক। শুক্রবার (১২ জুলাই) কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারর্জিস আলম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেনের অনুমোদনে ঘোষিত এ কমিটিতে আনোয়ার হোসেন কাজলকে প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তবে সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যে অভিযোগ উঠেছে, আনোয়ার হোসেন কাজল পূর্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এনসিপির একটি ভিন্নধর্মী রাজনৈতিক আদর্শ থাকায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—একটি ভিন্ন মতাদর্শের দল কীভাবে সাবেক অন্যদলীয় নেতাকে এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিযুক্ত করলো?
এ বিষয়ে একাধিক স্থানীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “আমরা চাই দলটি যেন পরিচ্ছন্নভাবে সংগঠিত হয়। তবে সদ্য ঘোষিত কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন, এমন তথ্য জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—এটি কি তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে নেওয়া সিদ্ধান্ত?”
যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হাসান, আবদুল খালেক এবং মোছা. নুরুন্নাহার। এছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন বিভিন্ন পেশাজীবী ও তরুণ কর্মীদের সমন্বয়ে আরও ২৭ জন সদস্য।
কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানান, এনসিপি এখন সাংগঠনিকভাবে একটি শক্তিশালী কাঠামো গড়ে তুলতে দেশব্যাপী কমিটি গঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পূর্বধলায় এই কমিটি সেই প্রচেষ্টারই অংশ। তবে স্থানীয় পর্যায়ে যেন কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়েও নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে।
দলীয় একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, “সকল দিক বিবেচনায় অস্থায়ী এই কমিটি করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময় সকল অভিযোগ-উল্লেখ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনা হবে।”
এদিকে ফেসবুকে এনসিপির নতুন কমিটি ও প্রধান সমন্বয়কারীর নাম সামনে আসার পর মন্তব্য ঘরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে সমর্থন জানালেও অনেকে বলেছেন, “নতুন দলের নেতৃত্বে পুরনো ধারা এলে পরিবর্তন কীভাবে আসবে?”
Be First to Comment