পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনসার উদ্দিন খান পাঠানকে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভূতাপেক্ষভাবে এ পদোন্নতি প্রদান করা হয়।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল তাকে দুই বছরের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক (কো-অর্ডিনেটর, গ্রেড-১) হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। বর্তমানে তিনি ওই পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
আনসার উদ্দিন খান পাঠান একজন চৌকস, সৎ ও মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিচিত। পাশাপাশি তিনি দক্ষ ও জনপ্রিয় শিক্ষক হিসেবেও খ্যাত। পুলিশের বর্তমান অনেক তরুণ কর্মকর্তা তার সরাসরি ছাত্র।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিনি পুলিশের সংস্কারমূলক কার্যক্রমে দায়িত্বশীল পদে থাকায় পরবর্তী শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। যদিও তার পেশাদারিত্ব ও সততার কারণে তাকে পুলিশ বাহিনী থেকে সরানো সম্ভব হয়নি।
তিনি ২০২২ সালে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তা হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর থেকে তিনি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড ও লেখালেখিতে সক্রিয় রয়েছেন।
আনসার উদ্দিন খান পাঠানের পিতা মরহুম সুরত আলী। পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার আগে তার মায়ের স্বপ্ন ছিল তিনি সরকারি উচ্চ পদে চাকরি করবেন, কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পরই তিনি তার চাকরি জীবন শুরু করেন।
আনসার উদ্দিন খান পাঠানের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের কাজলা গ্রামে। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির সুপারিন্টেন্ডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সততা, নিষ্ঠা ও পেশাগত দক্ষতার কারণে তিনি সহকর্মী ও অধীনস্তদের কাছে একজন সম্মানিত কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
পূর্বধলার কৃতি সন্তান আনসার উদ্দিন খান পাঠানের এ পদোন্নতিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ ও গর্বের সঞ্চার হয়েছে। তারা মনে করছেন, এ গুণী ব্যক্তি নতুন দায়িত্বেও দেশ ও জাতির কল্যাণে আরও অবদান রাখবেন।