নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মানোন্নয়নের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে স্থানীয় সংগঠন রেডলাইন সেইফ রাইডার্স ক্লাব।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ক্লাবের পক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মাহমুদুল হাসান মামুনের হাতে স্মারকলিপিটি তুলে দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে চারটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: ১. হাসপাতাল প্রতিনিধি (রিপ্রেজেনটেটিভ) দের জন্য সময় নির্ধারণ—বড় হাসপাতালের নিয়ম অনুসরণ করে দিনে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা সময় বরাদ্দ। ২. রোগী, দর্শনার্থী ও হাসপাতালকর্মীদের জন্য মাঠে নির্দিষ্ট পার্কিং ব্যবস্থা। ৩. জরুরি বিভাগের সামনে ২৪ ঘণ্টা ভিড়মুক্ত রাখার কার্যকর ব্যবস্থা। ৪. ডাক্তার সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
স্মারকলিপি পেশের সময় উপস্থিত ছিলেন পূর্বধলা হেল্পলাইনের ক্রিয়েটর ও পূর্বধলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নোমান শাহরিয়ার, রেডলাইন ক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ সজীব, সাধারণ সম্পাদক সাকিব আবদুল্লাহ, সহসভাপতি অমিত দাস, সহ–সাধারণ সম্পাদক তুষার দত্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্নিগ্ধ সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক পিয়াস চৌধুরী, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক পল্লব রাজভর ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মুরসালিন ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় রেডলাইনের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলেন এসি ক্লাবের সভাপতি ফাহাদ হোসেন তালুকদার।
রেডলাইন সেইফ রাইডার্স ক্লাবের সদস্যরা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর এখন যেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের মোটরসাইকেল হাটে পরিণত হয়েছে। জরুরি বিভাগের সামনে রোগী আনা গাড়ির জন্য নেই কোনও পার্কিং ব্যবস্থা, যা সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগের কারণ।
এছাড়া নামিদামি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ডাক্তারদের বারবার সালাম দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন, যার ফলে চিকিৎসা সেবার গুণগতমানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
তারা আরও জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থাকা রোগীদের বসার বেঞ্চগুলো দখল করে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা বিশ্রামের জায়গা না পেয়ে অসুবিধায় পড়ছেন। জরুরি বিভাগের সামনে শুধু রোগীবাহী যানবাহনের পার্কিং নিশ্চিত করা হোক এবং প্রতিনিধিদের জন্য নির্ধারিত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হোক। আর এই দাবি গুলি নিয়েই আজকে হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে ৪ টি দাবি উত্থাপন করে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। যাতে করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বশীল ও সচেতন হয়।