Press "Enter" to skip to content

নির্বাচনী সংবাদ সম্মেলন- মোঃ মজিবুররহমান খান

সারদেশে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চলমান। এরই ধারাবাহিকতায় নেত্রকোনার পুর্বধলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল, বাছাই, প্রত্যাহারের সময় অতিক্রম করেছে।আজ ০২/০৪/২৪ তারিখ নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দিবে কমিশন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরুতেই তফসিল ঘোষণার পরপরই সকল প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ণ আচরণের পরিবর্তে সম্প্রীতি মুলক আচরণ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের সাথে সহযাত্রী হিসাবে সকল সরকারি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে ব্যস্ত সময় পার করেছে উপজেলা চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীগন। শুধু তাই নয়, পারিবারিক কার্যক্রম সহ বিভিন্ন সামাজিকতার বন্ধনকে সুদৃঢ় করতেও ভুল করেনি কেউ কেউ। আমরা ইতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গিতে বিষয়টিকে অনুধাবণের চেষ্টা করলেও জনসমক্ষে বিষয়টি উপজেলা নির্বাচনের প্রাক প্রতিযোগিতাকেই দৃশ্যমান করেছিল। কেননা সমকালীন পরিস্থিতিতে তফসিল ঘোষণা হলেও মনোনয়ন জমা, প্রার্থীতা বাছাই না হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী গন–মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের সমর্থন প্রত্যাশায় প্রায় সকলেই এমপি তোষণ নীতিতে মনোযোগী ছিলেন।কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাস–বিশ্বসভ্যতার ইতিহাসের ক্রমবর্ধমান ধারাবাহিকতায় একজন মানুষ কখনোই সকলের প্রতি সমান সহানুভূতি প্রদর্শন করতে পারেন না। এটি মানব জাতির ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার ধারাবাহিক বিবরনীরও একটি অংশ।তাই মাননীয় সাংসদ মহোদয়ের সহমর্মিতা, সহানুভূতি ও সমর্থনের প্রত্যাশায় হয়তো খানিক ব্যতয় ঘটায় কাল বিলম্ব না করেই পুর্বের ঐতিহাসিক রীতিকে অনুসরণ করে পুর্বধলা উপজেলার দু’জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাদের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিকে অটুট রেখে স্হানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উত্থাপন করে তারা নিজেরাই নির্বাচনী আচরণ বিধি কতটা রক্ষা করেছেন সেটা– জনগন,পাঠক এবং কমিশনই বিচার করতে পারবে। যেখানে আচরণ বিধি অমান্যকারীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করার সুযোগ চলমান–সেখানে  এধরনের সংবাদ সম্মেলন নির্বাচনকে প্রভাবিত অথবা প্রশ্নবিদ্ধ করার পায়তারাকেই সমর্থন করে। সময় এবং স্বার্থে পরিবর্তনের আশংকায় নুন্যতম সৌজন্যতাকে বেমালুম ভুলে গিয়ে তারা সাংবাদিক সম্মেলনে অনুমান নির্ভর ঘোষণা দেয় যে,- “তাদের কর্মীদের কিছু হলে যেকোন মুল্যে তা প্রতিহত করবে”।

এরকম অনুমান নির্ভর বক্তব্য একধরণের ভীতি এবং নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের সামিল। বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমাদানের পুর্বেই সরকারি কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় চলে যান। এদিকে সংবাদ সম্মেলনকারীগন মনোনয়ন পত্র জমাদানের পরপরই মোটর শোভাযাত্রা এবং  মিছিল সহকারে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন। অথচ নির্বাচনী আইনে সুস্পষ্ট বলা হয়েছে -মনোয়ন পত্র জমাদান থেকে প্রতীক বরাদ্দের পুর্ব পর্যন্ত কোন প্রার্থী পাচজনের অধিক জনবল নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারবেন না। অথচ কোনকিছু তোয়াক্কা না করে এরা  নির্বাচনী আচরণ বিধিকে  উপেক্ষা করে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ব্যক্তিগত   আক্রমণ করে নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে।

তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তাদের চিরাচরিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে অব্যাহত রেখে পুর্বের মতোই একজন আদর্শিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের পাচবারের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব আহমদ হোসেন, এমপি মহোদয়কে বিতর্কিত করার ঘৃন্য চেষ্টায় লিপ্ত।

এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার প্রতিফলন এমপি জনাব আহমদ হোসেনের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে পুর্বধলায় যে উন্নয়ন মুলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকুক। আমাদের মনে রাখা উচিত-“ক্ষমা,ধৈর্য,মহত্ব ও ঐক্যের প্রতীক” পুর্বধলার এমপি জনাব আহমদ হোসেন। পুর্বধলার মানুষ বিগত সময়ের মতো রক্তারক্তি আর অনৈক্যের বিভক্তিকে অপসারণ করে একটি উন্নত,সমৃদ্ধ পুর্বধলা দেখতে চায়।সেক্ষেত্রে যেকোন অপশক্তির বিনাশ অনিবার্য।

মোঃ মজিবুররহমান খান

লেখক ও সাংবাদিক।

More from বিশেষ সংবাদMore posts in বিশেষ সংবাদ »
More from রাজনীতিMore posts in রাজনীতি »
More from রাজনীতিMore posts in রাজনীতি »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.