নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৬)। ওই ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সদরের রাজপাড়া গ্রামে ওই কিশোরীর ভাড়া করা বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স। এসময় পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের মোঃ আলেক মিয়ার ছেলে মো. শাহজালালের সঙ্গে নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের ইতালি ফেরত প্রবাসী বাবুল তালুকদার ও মা দুবাই প্রবাসী সুমী আক্তারের মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। উপজেলার রাজপাড়ায় শুক্রবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে বর হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসেন। এ সময় বর শাহজালালের সঙ্গে হেলিকপ্টারে তার তিনজন আত্মীয় ছিলেন। উৎসুক কয়েকশত গ্রামবাসী ওই হেলিকপ্টার উঠানামা ও বর দেখতে সেখানে ভিড় করেন। উৎসুক জনতার ভিড় ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অন্য বরযাত্রীরা সড়ক পথে গাড়িতে আসেন। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের তারিখ ছিল শুক্রবার।
এই প্রথম পূর্বধলায় কোনো বর হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে আসায় ওই এলাকার আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েকশ লোক বরযাত্রী ও হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় করেন। এ সময় জনতার ভিড় সামাল দিতে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেয়ের মায়ের দেওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদটি যাচাই করে তা অনলাইনে পাননি এবং যাচাই করে দেখতে পান মেয়ের ১৮বছর পুর্ন হয়নি। পরে মেয়ের বিয়ের বয়স পুর্ণ না হওয়ায় বাল্য বিয়ের অপরাধে বর ও মেয়ের মায়ের মুচলেকা নিয়ে বিয়ে পন্ড করে দেন।
Be First to Comment