নেত্রকোণার পূর্বধলায় বাছুর প্রসব না করেই প্রতিদিন দুধ দিচ্ছে উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের হায়দর আলীর দুই বছরের বকনা গরু। বিদেশি শংকর জাতের কামধেনু প্রজাতির গরুটি প্রতিদিন গড়ে ৪ লিটার দুধ দিচ্ছে। গরুটিকে দেখতে আশে পাশের গ্রাম থেকে শতশত উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিদিন। এমন একটি গরুর মালিক হয়ে খুব খুশি হায়দর আলী।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গেলে হায়দর আলী জানান, কয়েক বছর আগে তিনি একটি গাভি ক্রয়ের পর এ বাছুরটির জন্ম হয়। পরে বাছুরটি বড় হলে তিনি গাভিটি বিক্রি করে দেন। গরুটির বর্তমান বয়স ২৩ মাস। প্রায় ২০-২৫দিন পূর্বে তিনি লক্ষ্য করেন বাছুরটি দুধের বাঁট ফোলা। ধারণা করেন বকনার বাঁটে দুধ জমেছে। তাৎক্ষণিক গরুটির ওলান থেকে দুধ সংগ্রহ করেন তিনি। প্রথম কয়েকদিন ১ লিটার দুধ পেলেও এখন দুধের পরিমাণ বেড়েছে। এখন প্রতিদিন ৪ লিটার দুধ সংগ্রহ করা যাচ্ছে। দুধের স্বাদ স্বাভাবিক, নিজেরা দুধ পান করছেন এবং গরুটিকে দেখতে আসা অন্যরাও কিনে নিচ্ছেন।
গরুটিকে দেখতে আসা নিজাম উদ্দিন বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই গরু লালন পালন করি। কখনও এ রকম হতে দেখিনি। তাই দেখতে এসেছি। ঘটনার সত্যতাও পেয়েছি।
স্থানীয় বাবুল মিয়া ও মফিজুল ইসলাম বলেন, সাধারণত যে গাভী বাচ্চা জন্ম দেয়, সেই গাভীই দুধ দিয়ে থাকে। ২ বছরের বাছুরটি দুধ দেয়, এটা একটা ব্যতিক্রমী ঘটনা। অনেকেই বিষয়টি শুনে আশ্চর্য হয়েছেন। তাই প্রতিবেশীরা এ দৃশ্য দেখতে বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান জানান, “হরমোনের কারণে এমনটা হয়। অক্সিটোসিন হরমোন যদি বেড়ে যায় তাহলে এরকম বকনা গরু থেকে দুধ আসতে পারে। এটা নিয়ে কৌতূহলের কিছু নেই। যদি এই দুধ স্বাভাবিক স্বাদ ও গন্ধের হয় তাহলে এটা যে কেউ পান করতে পারবে।”
Be First to Comment