Press "Enter" to skip to content

পূর্বধলায় THO ও স্থানীয় সাংসদের ফোন আলাপ অডিও ভাইরাল পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান

গতকাল ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন চিকিৎসক করোনা পজেটিভ ধরা পরে। খবরটি প্রকাশ হবার পর স্থানীয় সাংসদ ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা আক্তারকে সংবাদটি কেন তাকে আগেই জানানো হলোনা মর্মে উত্তেজিত বাকবিতন্ডা অডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। করোনার সার্বিক পরিস্থিতি তাকে জানাতে দেরি হওয়ায় তিনি ডা. মাহমুদা আক্তারের সাথে মোবাইলে অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন। অপর প্রান্তে ডা. মাহমুদা আক্তার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অফিসার ইনচার্জ ও সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়ের কারণে বিলম্ব হচ্ছিল জানালেও তিনি (সাংসদ) বিষয়টি আমলে নেননি। এদিকে করোনা মোকাবেলায় ও জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পূর্বধলায় কর্মরত ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সাংসদের এমন আচরণ কর্তব্যে নিয়োজিত সবাইকে মর্মাহত ও হতাশ করেছে।

এ বিষয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের মহাসচিব ডা. আব্দুল আজিজ জানান, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। দুইজন ডাক্তার আক্রান্তের খবরে স্থানীয় সাংসদের সমবেদনা ও উৎসাহের বদলে এমন রূঢ় আচরণ খুবই দুঃখজনক। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে একজন জনপ্রতিনিধির এমন আচরণ খুবই হতাশাজনক। যারা নিজের জীবনের ঝঁকি নিয়ে নিজের পরিবারের মায়া বাদ দিয়ে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তাদের কোন বিষয়ে হুমকি-ধামকি বা দেখে নেয়ার ভয় দেখানো কোনভাবেই কাম্য নয়। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না ফেলিয়ে সময় এখন তাদের পাশে দাড়ানোর।

এ পরিবেশে স্থানীয় সাংসদের নেতৃবৃন্দ এর নিন্দা জানিয়ে এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা লিখেন পূর্বধলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের THO সাথে অডিও ক্লিপে এমপি মহোদয়ের প্রথম প্রশ্নটি ছিল জবাবদিহিতা মূলক- “এত বড় একটি ঘটনা ( পূর্বধলায় যে দুইজন ডাক্তার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন) ঘটে গেছে & You didn’t inform me! কি মনে করেন নিজেকে?” THO ডাক্তার মাহমুদা আক্তার গত পরশু পূর্বধলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২জন কর্মকর্তা covid-19 এ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা তিনি এমপি মহোদয়কে যথাসময়ে জানানোর প্রয়োজন-ই মনে করলেন না। তার (THO) কাছে এমপি মহোদয় বাদে সকলেরই গুরুত্ব আছে, যা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। সকলের মনে অবশ্যই এখন প্রশ্ন জাগতে পারে কেন…? কেন ডা. মাহমুদা আক্তার এমন করলেন? তার অডিও ক্লিপটিকে ব্যবহার করে মাননীয় সাংসদকে বিতর্কিত করার ব্যর্থ চেষ্টা করার মাধ্যমে আবার ও প্রমানিত হল। প্রথম প্রশ্নের জবাবে যথাযথ উত্তর না দেয়ায়, এমপি মহোদয় বলেন,  “আমি ফোন করার পরেই সমস্থ কিছুই জানান আপনি। This is too much lady, mind it.” উপদেষ্টা হন তাই তিনি জবাব দিহিতা অবশ্যই চাইতে পারেন। বিষয়টা মাইন্ড করার মতই। ডাক্তার মাহমুদা আক্তার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যখন কোন ভাবেই নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করছিলেন না, একবার Sorry Sir বলার ও প্রয়োজন বোধ করলেন না বরং তর্ক করছিলেন তখন মাননীয় সাংসদ বলেন, “ আমি আপনার এই কাল্পনিয় কথা শুনতে চাই না It was your emergency, it’s your faults. I am looking into it, this is too much.”

More from গণমাধ্যমMore posts in গণমাধ্যম »
More from জাতীয়More posts in জাতীয় »
More from জীবনধারাMore posts in জীবনধারা »
More from প্রযুক্তিMore posts in প্রযুক্তি »
More from প্রশাসনMore posts in প্রশাসন »
More from বিশেষ সংবাদMore posts in বিশেষ সংবাদ »
More from রাজনীতিMore posts in রাজনীতি »
More from সকল সংবাদMore posts in সকল সংবাদ »
More from সারা বাংলাMore posts in সারা বাংলা »
More from সারাদেশMore posts in সারাদেশ »
More from স্বাস্থ্যMore posts in স্বাস্থ্য »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.